জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সরকার নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরমধ্যে একটি পদক্ষেপ হচ্ছে, সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখা। এর আগে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে জানেন কি? কোন জ্বালানিতে কী গাড়ি চলে?
গাড়িতে ব্যবহৃত জ্বালানি নিয়ে হয়তো অনেকেই তেমন মাথা ঘামান না শুধু গাড়ি ভালো চললেই হলো। কিন্তু মোটরগাড়ির জ্বালানি ব্যবহারে রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। গাড়ি দু’রকমের হয়- পেট্রল ও ডিজেলচালিত। তবে আজকাল বেশকিছু গাড়ি গ্যাস বা সিএনজিচালিত। তবে গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো গ্যাস ব্যবহারের জন্য ইঞ্জিন তৈরি করে না। অন্যসব গাড়ির তুলনায় গ্যাসচালিত গাড়ির ইঞ্জিন তুলনামূলকভাবে বেশি গরম হয়। তাই এসব গাড়ির ইঞ্জিনের তাপ নিরসনের জন্য গাড়ির রেডিয়েটরের পানি সঞ্চালনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়।
পেট্রল এবং অকটেনকে তেলের পরিভাষায় বলা হয় যথাক্রমে পেট্রল বা মোটর স্পিরিট এবং হাইড্রোজেন অকটেন ব্লেন্ডিং কম্পোনেন্ট(HOBC)। জ্বালানি হিসেবে পেট্রল ও অকটেনের গুণাগুন নির্ণয়ে একটা সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। সেটা ওই তেলের অকটেন নাম্বার। পেট্রলের ক্ষেত্রে ধরা হয় আনুমানিক ৮০ থেকে ৮২ এবং অকটেনের বেলায় ৯৪ থেকে ৯৬ অকটেন সংখ্যা। এটাও কম-বেশি হতে পারে।
জ্বালানি হিসেবে তেল মানে অকটেন, পেট্রল ও ডিজেল বহুল পরিচিত। গাড়ি চালানোর খরচ কমাতে দেশে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) বা প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এই গ্যাসের মূল্য কম হলেও ইঞ্জিনের জন্য কমবেশি ক্ষতিকর। সাধারণত আমাদের দেশে যে গাড়িগুলো আমদানি করা হয়, সেগুলো তরল জ্বালানি দিয়ে চালানোর জন্য তৈরি।
সিএনজি গ্যাস শুষ্ক হওয়ায় ইঞ্জিনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তেলের খরচ কমিয়ে এবং ইঞ্জিনের ক্ষতি না করে নতুন একটি জ্বালানি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গ্যাসটির নাম লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)। তরলীকরণ করা এই গ্যাসকে অটোগ্যাসও বলা হয়। বাসাবাড়িতে ব্যবহার হওয়া এই গ্যাস এখন গাড়িতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে ২০ ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন জ্বালানিতে কী গাড়ি চলে-
>> বাস ডিজ ও গ্যাস
>> ট্রাক ডিজেল ও গ্যাস
>> সিএনজি গ্যাস ও এলপিজি
>> প্রাইভেট কার পেট্রল, অকটেন, গ্যাস ও এলপিজি
>> বাইক পেট্রল ও অকটেন
>> লেগুনা সিএনজি ও ডিজেল
জ্বালানি খরচ কমাতে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন-
>> গাড়ি কিছুটা ধীরে চালান
>> টায়ার প্রেশার ঠিক রাখুন
>> এয়ার ফিল্টার চেক করুন
>> সতর্কতা এবং যত্নের সঙ্গে গাড়ির গতি বাড়ান
>> হুটহাট ব্রেক আর স্পিড আপ করবেন না
>> গাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
>> ভেইকেল ট্র্যাকার ব্যবহার করুন