ভুয়া আমমোক্তারের মাধ্যমে শ্বশুর ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। এ মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। সবশেষ কুতুব উদ্দিনকে হাইকোর্ট জামিন দিলেও মুক্তি দিতে পারবে না জেল কর্তৃপক্ষ।
ফলে আপাতত তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। কারণ আপিল আবেদনটি শুনানি ও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগার থেকে মুক্তি না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন চেম্বারজজ আদালত।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণাদেব নাথের চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে গত ১৪ জুলাই তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেই জামিন বাতিলের বিষয়ে আপিল করে দুদক। ওই আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষ না করে এই আদেশ দেন।
এর আগে ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দের মামলায় কুতুব উদ্দিনকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। ওইদিন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের একক বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর গত ১৫ মার্চ নিম্ন আদালতে সাজার বিরুদ্ধে কুতুবের আপিল শুনানির জন্য নেন হাইকোর্ট।
২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল কুতুব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল। এর আগে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন মির্জা জাহিদুল আলম।
কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন। শ্বশুর ও স্বজনদের নামে গুলশান অভিজাত এলাকায় সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে নিজেই বসবাস করেন।
ওই মামলায় কুতুবের সঙ্গে নাজমুল ইসলাম সাঈদকেও আসামি করা হয়। একই বছরের ১২ এপ্রিল কুতুবকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়।