‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই’—বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ ধরনের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্র, সব সংসদ সদস্য, সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে দেশের সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি বিএনপির কোনো বিশ্বাস নেই।’
‘বর্তমান সরকার যদি পরিবর্তন না হয় এবং নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে, তাহলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না’—মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সরকার পরিবর্তন চায়, অথচ নির্বাচনে আসে না। সরকার পরিবর্তন চাইলে তো নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বারবার কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ বিএনপির তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন আগেই দেখেছে। তাদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সবক মানায় না। তাদের নেত্রী একসময় বলেছিলেন যে শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কাজেই বিএনপি নেতাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা যে দ্বিচারিতার রাজনীতি, তা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাংসিত ইস্যু। এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা থাকলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ হোক, এটা শেখ হাসিনা চান না।
সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচন কমিশনকে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচনসংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছে নির্বাচন কমিশন তখনই নিরপেক্ষ, যখন বিএনপি নির্বাচনে জয়ী ওয়ার শতভাগ গ্যারান্টি পাবে। এ নিশ্চয়তা নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে দিতে পারে না।
মতবিনিময় সভায় যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শতভাগ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরি ও বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।