শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে খোয়া গেছে মূল্যবান সহস্রাধিক জিনিসপত্র, যার মধ্যে রয়েছে দুর্লভ শিল্পকর্মও। সম্প্রতি কলম্বোর প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন টেম্পল ট্রিজে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ার পর এসব জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর পিটিআইয়ের।
ইতিহাসের গভীরতম অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা গত ৯ জুলাই শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবনে হামলা চালায়। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে গুরুত্বপূর্ণ এসব ভবনের উঠান থেকে শুরু করে সুইমিংপুল, রান্নাঘর, শোয়ার ঘর- সব জায়গা দখল করে নেয় তারা।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর ভবন দুটি থেকে মূল্যবান অন্তত এক হাজার জিনিস খোয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
তবে তদন্তকারীদের জন্য যেটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে থাকা প্রাচীন জিনিসপত্র ও প্রত্নবস্তুর কোনো রেকর্ড নেই শ্রীলঙ্কার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে। অথচ প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি রয়েছে স্থাপনাটির।
লঙ্কান প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খোয়া যাওয়া প্রাচীন জিনিসপত্রের সঠিক সংখ্যা ও সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন হবে। তবে পুলিশের ধারণা, এর সংখ্যা এক হাজারের বেশি হতে পারে।
শ্রীলঙ্কার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকারকে সম্মান করেন। তবে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনের মতো আর কোনো সরকারি ভবন দখল করতে দেবেন না।
বিক্রমাসিংহে জানান, ভবিষ্যতে সরকারি স্থাপনায় হামলা ও পার্লামেন্টের কাজে বাধা সৃষ্টি করা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই গত ২২ জুলাই ভোরে গলে ফেসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সমাবেশস্থল গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। এসময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে।
সূত্র: এনডিটিভি