এ বছর বাজারে সিলিং, টেবিল ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা বিবেচনায় উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী বছর ১৫০ শতাংশের মতো উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হবে।
গুলিস্তানের স্টেডিয়াম মার্কেটের শরিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শরিফুল মুসলেমিন বলেন, ‘তিন মাস ধরে প্রতি মাসে সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক ফ্যান বিক্রি করে আসছি। এর মধ্যে গত এক মাসে শুধু চার্জার ফ্যান বিক্রি করেছি ৪০০টি। বাজারে সব ধরনের ফ্যানের সরবরাহ কম। আমদানি কম তাই পণ্য মিলছে না। তাতে দাম বেড়েছে। এক মাস আগে যে ফ্যান ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি, এখন তা ৩ হাজার।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে দেশি–বিদেশি সব ব্র্যান্ডের প্রতিটি চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। গত এক মাসে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সাধারণ টেবিল ফ্যানের দাম রাখা হচ্ছে এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান কিনতে গেলে দাম রাখা হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বিদেশি ব্র্যান্ডের একটি সিলিং ফ্যান কিনতে হলে গুনতে হবে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফয়েজ ইলেকট্রিক স্টোরের মালিক ফয়েজ আহমেদ বলেন, গরমের সময় ফ্যানের চাহিদা বেশি থাকে। এর সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের সমস্যা। ফলে চার্জার ফ্যানের বিক্রি বেশি বেড়েছে।
বাজারে ফ্যান-এসির চাহিদা বাড়ায় এসব পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিও ভালো ব্যবসা করছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন বলছে, বর্তমানে তাদের ১০ প্রকারের ফ্যান বাজারে রয়েছে। এর মধ্যে সিলিং, টেবিল, চার্জার, টর্নেডো, নেট, বিএলডিসি, এগজস্ট, ওয়াল, স্ট্যান্ড ও সোলার ফ্যান অন্যতম। গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৫০ লাখ ফ্যান বিক্রি করেছে। চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লাখ।
এ বিষয়ে ওয়ালটনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম বলেন, ‘এ বছর বাজারে সিলিং, টেবিল ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা বিবেচনায় উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী বছর ১৫০ শতাংশের মতো উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হবে।’
ফ্যান-এসির বেচাকেনা বেশ ভালো উল্লেখ করে যমুনা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড অটোমোবাইলসের বিপণন পরিচালক সেলিম উল্লাহ বলেন, ‘গত দুই বছরের তুলনায় এবার তিন গুণ বেশি বেচাকেনা হচ্ছে।’