সোমবার , ২৫ জুলাই ২০২২ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সবুজ মাল্টায় রঙিন স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ২৫, ২০২২ ১২:১৩ অপরাহ্ণ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে সবুজ মাল্টা চাষে ব্যপক ফলন হওয়ায় চাষিদের চোখে এখন রঙিন স্বপ্ন। এতে আর্থিক স্বচ্ছলতা ও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন মাল্টা চাষিরা। এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭০ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি স্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেক গাছে ঝুলে আছে থোকাথোকা সবুজ মাল্টা। যা প্রায় এক মাস পর থেকেই বিক্রি করা হবে বলে জানায় চাষিরা।

খোলা বাজারে সবুজ মাল্টার চাহিদাও বেশ ভালো। বিদেশি মাল্টার তুলনায় এই সবুজ মাল্টা দামে কম, ফরমালিন মুক্ত এবং হাত বাড়ালেই যেকোন বাগাান কিংবা বাজার থেকে সংগ্রহ করা যায় বলে স্থানীয় ক্রেতারা বেশি আকৃষ্ট।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সখীপুর উপজেলায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৭০ হেক্টর জমিতে মাল্টার চারা লাগানো হয়েছে। এই এলাকায় বারি-১ নামের মাল্টার ব্যপক ফলন হয়। এছাড়া মাল্টা চাষের জন্য এই এলাকার মাটি বেশ উপযোগী।

উপজেলার কালিদাস গ্রামে আবু বকর সিদ্দিক নামের এক কৃষি উদ্যোক্তার সবুজ মাল্টার বাগানে গিয়ে দেখা যায় তিন একর জায়গার ওপর দুই হাজার সবুজ মাল্টার চারা। প্রতিটা গাছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজি করে মাল্টা ধরেছে। মাত্র দুই বছর আগে জমি লিজ নিয়ে এই মাল্টার চারা লাগান সিদ্দিক।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দশ বছরের জন্য তিন একর জমি লিজ নিয়ে মাল্টার চারা লাগিয়েছি। দ্বিতীয় বছরের মাথায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। এক মাস পরেই মাল্টা বিক্রি করবো। আশা করছি মাল্টা বিক্রি করে ভালো একটা টাকা পাবো।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেই বললেই চলে। এ ছাড়া সখীপুরের মাটি মাল্টা চাষের জন্য অনেক উপযোগী। যেভাবে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা মাল্টা চাষে নেমেছে আশাবাদী এই সখীপুরে সবুজ মাল্টা চাষে বিপ্লব ঘটবে।’

সর্বশেষ - আইন-আদালত