সোমবার , ২৫ জুলাই ২০২২ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

খরায় আমন রোপণ ব্যাহত

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুলাই ২৫, ২০২২ ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

পুরো আষাঢ় ও শ্রাবণের এক সপ্তাহেও বৃষ্টির দেখা নেই গাইবান্ধায়। খরার কারণে আবাদি জমি ফেটে  গেছে। ফেটে গেছে বীজতলাও। তাই অধিকাংশ কৃষক আমন রোপণ করতে না পেরে চিন্তায় পড়েছেন। কেউ কেউ সেচ দিয়ে চাষাবাদের চেষ্টা করছেন। জেলা কৃষি বিভাগের হিসাবে এ বছর জেলার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ পর্যন্ত চাষ হয়েছে মাত্র ১৫০ হেক্টর জমি। সাঘাটা উপজেলার কৃষক আমীর হোসেন বলেন, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমন চাষের সময়। এবার বৃষ্টি না হওয়ায় জমি ফেটে গেছে। পানির অভাবে আমন ধান লাগাতে পারি নাই। আমন ধান চাষে বৃষ্টিই ভরসা। তাতে পানির জন্য খরচ লাগে না। কিন্তু এবার অবস্থা ভিন্ন। টাকার অভাবে মেশিন দিয়ে পানিও নিতে পারছি না। গাইবান্ধা সদরের খামার বোয়ালী গ্রামের কৃষক মাহাবুব মিয়া বলেন, টাকা ধার দেনা করে এক বিঘা জমিতে স্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি নিলাম কিন্তু রৌদ্রের প্রখরতা কারণে সে পানিও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গেল।

এত টাকা খরচ করে আমন ধান চাষ করলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।

খামার বোয়ালী গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, এরকম অবস্থা গত ১০ বছরে হয় নাই। অনেকে বীজতলায় সেচ দিয়া চারা বাঁচানোর চেষ্টা করতেছে। কিন্তু চারাগুলো লাল হওয়া শুরু করছে। বৃষ্টি না হলে এবছর আমন চাষ করা যাবে না। সেচ খরচ দিয়া ধানের খরচ তোলা যাবে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আমন ধান রোপণের এখনো সময় আছে। তবে আমন রোপণে দেরি হলে বোরো চাষেও বিলম্ব ঘটে যায়। তাই কৃষকদের নিজ উদ্যোগে জমিতে পানি সেচ দিয়ে আমন রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

 

 

 

সর্বশেষ - দেশজুড়ে