মঙ্গলবার রাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। তিনটি টি-টোয়েন্টি ও সমসংখ্যক ওয়ানডে খেলতে জিম্বাবুয়ে গেছেন টাইগাররা। দেশ ছাড়ার আগে দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ের মাটিতে লক্ষ্য থাকবে সিরিজ জেতার, তবে সেটি সহজ হবে না।
তাসকিন বলেন, ‘ভালোফল আশা করছি। তবে ওদের মাঠে ওদের বিপক্ষে কষ্ট করেই জিততে হয়। গতবছর খেলেছিলাম, প্রতিটি ম্যাচই কিন্তু আমাদের কঠিন সময় দিয়েছিল ওরা। এবারও কষ্ট করে জিততে হবে। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে সিরিজ জেতার। তবে সহজ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য একই থাকবে। আগের বারের মতো এবারও সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। দলকে জেতানোর পেছনে আমার যেনো অবদান থাকে। নতুনত্ব নিয়ে কাজ করছি। তবে সবকিছু নির্ভর করবে কেমন ধরনের উইকেট থাকবে, কেমন বোলিং করা যায় ওটাই আর কি।’
তরুণদের নিয়ে গড়া দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের কাঁধে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সোহান, আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভালো করবে বলে বিশ্বাস তাসকিনের। মঙ্গলবার রাতে বিমানবন্দরে এ কথাই জানিয়ে গেলেন এই পেসার।
‘সোহান আশা করি অবশ্যই ভালো করবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো সবসময় ভালো করে। যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আলাদা। তবে আশাবাদী সেখানেও সে ভালো করবে।’
এ সময় পেস ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আশার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পেস ডিপার্টমেন্ট নিয়ে আমরা আশাবাদী। গত দুই বছর ধরেই কিন্তু মাশাআল্লাহ্ উন্নতি হচ্ছে। এখনও আমরা আমাদের স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছি।’
ব্যক্তিগতভাবে সিরিজটি ভালো কাটেনি তাসকিনেরও। দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ৬ ওভারে খরচ করে বসেন ৫৬ রান, পাননি উইকেটের দেখা। অবশ্য সেই সফরের টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে খেলেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা ৭৫ রানের ইনিংস। এবার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন তাসকিন।
গত বছর জুলাই মাসেই জিম্বাবুয়ের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জেতার তৃতীয় ম্যাচেও ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল স্বাগতিকরা।