সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নীতি-আদর্শকে ধারণ করে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বক্সনগর বর্দ্ধনপাড়া এলাকায় অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতীয় পার্টির ৯ বছরের শাসনামলে দোহার-নবাবগঞ্জসহ সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন চালু, শিশুদের সাংস্কৃতিক মেধার বিকাশে পথকলি ও নতুন কুঁড়ি প্রতিষ্ঠা, দেশে ৬৪ জেলা ও ৪৬০টি উপজেলা প্রতিষ্ঠিত করা, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় শেল্টার নির্মাণ। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশ ঘটাতে এরশাদ সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে।
অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের এসব উন্নয়নের কথা সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। তবেই আমরা সাংগঠনিকভাবে মানুষের মাঝে পৌঁছতে পারব; সংগঠন শক্তিশালী হবে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে, সব ভেদাভেদ ভুলে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে একসঙ্গে কাজ করে দলকে এগিয়ে নিতে হবে।
এ সময় তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে জেলা ও উপজেলা নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে, দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন-পুরাতন নেতাদের সমন্বয়ে বিলুপ্ত করা ইউনিয়ন কমিটিগুলোতে তিন সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির নেতা খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ জুয়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টির নেতা মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় নারীনেত্রী মিথিলা রৌওজা, রওশনারা রুপালী, শান্তা ইসলাম, শাহীনুর আক্তার শাহীন, দোহার উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ, হায়দার বেপারী, বশির আহমেদ, আফজাল শিকদার, নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর চোকদার, এমএ মজিদ, আসাদুজ্জামান চৌধুরী রানা, আব্দুল মান্নান মাস্টার, সেলিম শিকদার, আনোয়ার হোসেন মোড়ল, আয়নুল চৌধুরী, আব্দুল মতিন, সাহেদ আলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।