যাত্রী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কালিয়াকৈর বাইপাস থেকে সূত্রাপুর পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বন্ধ করা যায়নি নিষিদ্ধ চলছে ঘোষিত তিন চাকার যানবাহন। মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে চলছে লেগুনা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি অটোরিকশাসহ নানা ধরনের তিন চাকার বাহন। আবার অনেক স্থানেই দেখা গেছে উল্টো পথে দাপটের সঙ্গে চলছে এসব বাহন। এসব যানবাহনের কোনোটির নেই ফিটনেস সার্টিফিকেট, নেই সড়কে চলাচলের কোনো কাগজপত্র। গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের নেই কোন তৎপরতা।
তবে অভিযোগ রয়েছে- পুলিশের একশ্রেণির লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় দিনের পর দিন চলছে এসব যানবাহন। এসব যানবাহনের চালকদের অনেকেই অনভিজ্ঞ এবং কম বয়েসী চালক, হেলপার দ্বারা পরিচালিত এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। ফিটনেসবিহীন ও সরকার নিষিদ্ধ এসব যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এছাড়া যানজট ও জনভোগান্তি হচ্ছে চরমভাবে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে নানাভাবে লাঞ্ছিত হতে হয় যাত্রীদের।ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মুনছের আলী জানান, এই মহসড়কে প্রায় দুইশত অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হলে প্রতি মসে এক হাজার টাকা ও প্রতিদিন ৩০-৩৫ টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে গাড়ী বন্ধ করে দেয়।
সিএনজি চালক রাশেদ মিয়া জানান, পুলিশকে টাকা না দিলে পাম্প থেকে গ্যাস আনা যায় না। তাই সবার সাথে মিলে গাড়ি চালাতে হয়।
গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মোল্লা টুটুল জানান, মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করে কিনা আমার জানা নেই, যদি চলাচল করে থাকে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে কোন গাড়ি থেকে টাকা পয়সা নেওয়া হয় না।