পরাজয়ের শঙ্কাই জেগে উঠেছে বাংলাদেশ শিবিরে। কোনো একটি বড় জুটি গড়ে উঠলো না। এমনকি প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারদের কেউই দাঁড়াতে পারলেন না। বরং নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইনটা বেশ বড়। লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, এনামুল হক বিজয় এবং নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোসাদ্দেক হোসেন- কত বড় বড় ব্যাটার। কিন্তু আফিফ ছাড়া এদের কেউই জিম্বাবুয়ে বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলো না। ৯৯ রানের মাথায় বিদায় নিলেন ৬জন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার।
এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৫.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯। ২৮ রান নিয়ে আফিফ হোসেন এবং ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মাহদি হাসান।
১৫৭ রানের লক্ষ্য। বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য খুব একটা বড় নয়। তবুও ক্রিকেট হচ্ছে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। যে কোনো সময় রঙ পাল্টে যেতে পারে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার লিটন দাস এবং পারভেজ হাসান ইমনের উইকেট হারিয়ে পড়েছে দারুণ বিপদে। ২৪ রানের মাথায় হারিয়ে বসে ২ উইকেট। ৩৪ রানে তৃতীয় এবং ৬০ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট।
১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস এবং অভিষিক্ত ব্যাটার পারভেজ হাসান ইমন। কিন্তু দু’জনের কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। লিটন ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ৬ বলে খেলেছিলেন ১৩ রান।
কিন্তু জিম্বাবুয়ের পেসার ভিক্টর নাইয়ুসির বলেই দিশেহারা হয়ে যান দুই ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১৩ রানের মাথায় নাইয়ুচির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন লিটন। দলীয় ২৪ রানের মাথায় সেই নাইয়ুচির বলেই মিল্টন সোম্বার হাতে ক্যাচ তুলে দেন পারভেজ হাসান ইমন। ৬ বলে ২ রান করেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রায়ান বার্ল। ২৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। নাসুম আহমেদের এক ওভার থেকেই নেন ৩৫ রান।