চারদিনের দিল্লি সফরে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করছেন। শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা।
বৈঠকে কেন্দ্রের কাছে পশ্চিমবঙ্গের বিপুল বকেয়া টাকার দাবি তুলবেন বলে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে এটাকে নেহাতই ‘প্রশাসনিক বৈঠক’ বলছে দলটি। তবে বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে সিবিআই, ইডি তদন্ত আড়াল করতেই এই বৈঠক।
এদিকে, আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করার কথা মমতার। দিল্লি সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মমতার সঙ্গে মোদী আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীদের মনোবলে ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করেন দলটির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী যেন মমতার সঙ্গে দেখা না করেন তার দাবিও জানিয়েছিলেন এই দুই নেতা।
এর আগেও দিল্লিতে অনেকবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা অতীতে বহুবার অভিযোগ করেছেন, মোদী-মমতার রাজনৈতিক সমঝোতা নিয়ে। ব্রিগেডের জনসভা থেকে সিপিএম সারদা নিয়ে মোদী-মমতা সমঝোতার অভিযোগ করেছে।
কিন্তু অন্যবারের তুলনায় এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। রাজ্যে দুর্নীতিতে সিবিআই-ইডির তদন্ত চলছে। পার্থ-অর্পিতার একের পর এক সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি। বুধবারও তারা শান্তিনিকেতনে গিয়েছিল এরকমই কিছু বাড়িতে তল্লাশি চালাতে। অর্পিতার বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা ও প্রচুর গয়না উদ্ধার করেছে ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার ও প্রচুর গয়নার হদিস মেলার পরিপ্রেক্ষিতে মোদী-মমতার আসন্ন বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।
সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা