কুমিল্লায় ২৫০ বছরের প্রাচীন রূপার পানদানি, রূপার টাকা রাখার বক্স, গহনার বক্স, ২০০ বছরের ৩০ প্রকারের ২ শতাধিক মুদ্রা রয়েছে। এছাড়া রূপার নৌকা, চেয়ার, সেতার, পায়ের মল, গলার হার, হুক্কা, কাঁটা চামচ, চামচ, গ্লাস, সুরমাদানি, আতরদানি ও কুপি সংগ্রহ রয়েছে।
বংশ পরম্পরায় এগুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে শত বছর ধরে। কুমিল্লা নগরীর ছাতিপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান এগুলো সংরক্ষণ করছেন।
শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান জানান, পিতা আজম খান অলংকারের ব্যবসা করতেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রায় একশ’ বছর ধরে এই ব্যবসা করেন। তারা বিভন্ন সময়ে রূপার সামগ্রী সংগ্রহ করেন। এছাড়া কুমিল্লা নওয়াব বাড়ি থেকেও কিছু সামগ্রী সংগ্রহ করেন। এগুলো তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। তাই এগুলো সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া বৃটিশ, পাকিস্তানি, ত্রিপুরা ও আরবীয় মুদ্রা সংগ্রহে রয়েছে। অনেকে কিনতে চাইলেও তারা তা বিক্রি করেননি। প্রায় প্রতিদিন অনেকে এগুলো দেখতে আসেন।
কুমিল্লা নগর উদ্যানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত কুমিল্লা জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল আবেদীন বলেন, ২৫০ বছরের প্রাচীন রূপার পানদানি, টাকা রাখার বক্স, গহনার বক্স, ২০০ বছরের মুদ্রার সংগ্রহ গুলো প্রমাণ করে এই এলাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। ওই এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা। তাদের জীবন যাপন। তারা কত সৌখিন ছিলেন। এগুলোর দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
চট্টগ্রাম জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের উপ-পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে সংরক্ষণে থাকা নিদর্শন গুলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।
তিনি আরো বলেন, ৮ম শতকে কুমিল্লা কোটবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বর্তমানে শালবন বৌদ্ধ বিহার নামে পরিচিত। কুমিল্লা অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। অনেক গুলো স্তূপ এখনো খনন হয়নি। সেগুলো খনন হলে অনেক প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া যাবে। সম্প্রসারিত হবে প্রত্ন পর্যটন।