সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আবহে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে পালিত হলো পবিত্র আশুরা। দিনটিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রাজ্যটির জেলায় জেলায় বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল বের হয়।
হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ আশুরার মিছিলে যোগ দেন। বহরমপুর, কান্দি, বেলডাঙ্গাসহ জেলাজুড়ে দিনটি পালিত হলেও লালবাগে নবাবি আমালের ইতিহ্য মেনে মহরম উৎসব পালিত হয়।
মহরমের দিন সকালে লালবাগের ইমামবারা থেকে মিছিল বের হয়। এতে তাজিয়া, চাঁদির পাঞ্জাতন, চাঁদোয়া ও দুলদুল ঘোড়া প্রদর্শিত হয়। লালবাগ থেকে আমানিগঞ্জের কারাবালায় গিয়ে মিছিলের সমাপ্তি হয়। প্রদর্শিত হয় লাঠিখেলা। জলুশে অংশগ্রহণকারীরা শরীরে ব্লেড ও জঞ্জীর আঘাত করে রক্ত ঝরিয়ে ইমাম হোসেন ও হাসানের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
অগ্নি মাতমে অংশ গ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা সরবত নজরানা দেন। মহরম উপলক্ষ্যে সোমবার রাতে লালবাগের ত্রিপোলি গেটের সামনে একটি ফাঁকা মাঠে অগ্নি মাতম অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার রাতে অগ্নি মাতমের পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালে মহরমের মিছিল দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ লালবাগে ভিড় জমান।
স্থানীয় বাসিন্দা সেকেন্দার খান বলেন, নবাবী আমলে মহরমার মিছিলে নবাব ও নবাব পরিবারের সদস্যরা হাঁটতেন। জলুশে হাতি, ঘোড়া, উট থাকতো। এখন সেই জৌলুশ অনেকটাই কমে গেছে।
কলকাতার মৌলালি, পার্কসার্কাস, শিয়ালদহ, রাজাবাজার, মেটিয়াবরুজ, খিদিরপুর অঞ্চলে আজ সকালে মহরমের মিছিল বের হয়। গতকাল রাতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাজিয়ায় অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামের ইতিহাসে মহররম মাসের ১০ তারিখ বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন দিন। দিনটি আশুরা হিসেবে পালন করে বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়। কারবালার বিয়োগান্তক স্মৃতি স্মরণে শোকের আবহে পালিত হয় পবিত্র আশুরা।