রাজধানীর উত্তরার তুরাগে ভাঙারি দোকানে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া গাজী মাজহারুল ইসলামের মেয়ে বীথি আক্তারের পড়ালেখার দায়িত্ব নিয়েছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। গত ৬ আগস্ট তুরাগের রাজাবাড়ি এলাকায় ভাঙারি দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যান মাজহারুল।
বাবা হারানো বীথিকে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে বুধবার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে চার বছর মেয়াদি অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হন বীথি।
এদিন উত্তরা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সম্মানীত সদস্য আবিদ আজিজের নেতৃত্বে একটি টিম বীথি আক্তারের তুরাগ এলাকার বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে পড়াশোনা চলাকালীন আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বীথির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তুরাগে বিস্ফোরণের দিন বাবার কাছ থেকে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন বীথি আক্তার। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন টাকা জমা দেবেন, তখনই মুঠোফোনে জানতে পারেন বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন বাবা। ভর্তি না হয়েই ছুটে যান হাসপাতালে। সেদিন রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাজহারুল ইসলাম মারা যান। বাবার দাফনে ব্যয় হয়ে যায় ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির টাকা।
এরপরই উত্তরা ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে বীথিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে তার উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার ঘোষণা দেয়।
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রদীপ্ত মোবারক জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বীথি আক্তারের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তাকে বিনা খরচে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ ও সার্বিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।