রবিবার , ১৪ আগস্ট ২০২২ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

হঠাৎ করে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে নিম্নআয়ের মানুষ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ১৪, ২০২২ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

জ্বালানি তেলের দাম ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধান বেড়েছে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ। জ্বালানি তেল ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে, কাঁচামরিচ কেজি প্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সাদা এলাচ কেজি প্রতি ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকায়, জিরা ৭০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৭০ টাকায়।

অন্যদিকে বেড়েছে সয়াবিন তেল, মুরগি ও ডিমের দাম। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, ব্রয়লায় মুরগি কেজিপ্রতি ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, ডিম খাঁচি প্রতি ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। এছাড়াও বেড়েছে চিনি, আদা, রসুন, লবঙ্গ, মাছ ও গরুর মাংসের দাম।

হিলি বাজারে বাজার করতে আসা শ্রী প্রণব কুমার চক্রবর্তী বলেন, বাজার করতে এসে হতাশ হলাম। সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। কোনটা কিনব বুঝে উঠতে পারছিনা। যেভাবে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ছে গরিব মানুষের বাঁচা দায় হয়ে যাবে। একেক দোকানে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যে যার মতো করে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। বাজার যদি নিয়মিত মনিটরিং করা হতো তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা সাবধান হয়ে যেত।

হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা ইয়াছিন রানা বলেন, ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের মসলার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মসলার দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক বিক্রি কমে গেছে। ক্রেতা অনেক কম। আমরা মসলা বিক্রি করে নতুন করে কিনতে গেছে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ছোট দোকানদারেরা অর্থের অভাবে ব্যবসা করতে পারবে না।

হিলি বাজারের মুরগি বিক্রেতা শাকিল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগির দাম ছিল ২৪০ টাকা এখন ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

বিভিন্ন ধরনের মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণে খামার মালিকরা বেশি দামে মুরগি বিক্রি করছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, সরবরাহ কমের কারণে আমদানিকারকরা মোকামে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। যার জন্য আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমে গেছে। আমরাও শান্তিমতো ব্যবসা করতে পারছি না।

 

facebook sharing button

সর্বশেষ - আইন-আদালত