নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের মধ্যে দর্শকদের ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন ফ্রান্সের তরুণ তারকা কাইলিয়ান এমবাপে। মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বকাপের উদীয়মান তারকার পুরস্কার জেতা এ খেলোয়াড়কেই ভাবা হয় ফুটবল বিশ্বের পরবর্তী রথী-মহারথী হিসেবে।
গত মৌসুম পর্যন্তও ভক্তদের মণিকোঠায়ই ছিলেন এমবাপে। কিন্তু চলতি মৌসুমের শুরু থেকে কমতে শুরু করেছে এমবাপের প্রতি ফুটবলপ্রেমীদের সম্মান ও ভালোবাসা। অনেক নাটকীয়তার পর রিয়াল মাদ্রিদকে না করে দেওয়ার পর প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে থেকে গিয়ে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনারই জন্ম দিচ্ছেন এমবাপে।
সবশেষ ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিজেকে পুরোপুরি দল থেকে বিচ্ছিন্নই করে ফেলেছিলেন ২৩ বছর বয়সী এ তারকা। দলের সবাই যখন একসঙ্গে কথা বলছিল, তখন এমবাপে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এছাড়া একটি আক্রমণের সময় পাস না পাওয়ায় সরেই যান এমবাপে।
এর চেয়েও বড় ঘটনা হিসেবে দাঁড়িয়েছে লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে কথা কাটাকাটির বিষয়টি। সেই ম্যাচে দুইটি পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি। প্রথমটির শট নেওয়ার আগে কাঁধ দিয়ে মেসিকে ধাক্কামতোন দেন এমবাপে। পরে সেই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি তিনি।
এরপর দ্বিতীয় পেনাল্টির সময় নেইমারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এমবাপে। শটটি করার জন্য এগিয়ে গিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু এমবাপে চান তিনি শট করবেন। যা নিয়ে মৃদু বচসা হয় দুজনের। শেষ পর্যন্ত নেইমারই করেন শট এবং গোলও পেয়ে যান। তবে এমবাপের এমন আচরণ ভুলতে পারেনি কেউ।
এ বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ফুটবলার ওয়েইন রুনি। মাত্র ২২-২৩ বছর বয়সে এমবাপে যে অহংকার দেখাচ্ছেন তা মোটেও সমীচীন নয় বলে মনে করেন রুনি। কেননা ২২ বছর বয়সে লিওনেল মেসির ঝুলিতে ছিল চারটি ব্যালন ডি অর শিরোপা। যেখানে এমবাপের একটিও নেই।
দেদার স্পোর্টসে রুনি বলেছেন, ‘এখন ২২-২৩ বছরের খেলোয়াড় কি না মেসিকে কাঁধ দিয়ে ঠেলে দেয়। তার (এমবাপে) চেয়ে বড় অহংকারী কাউকে দেখিনি। কেউ তাকে মনে করিয়ে দিন যে, মেসি ২২ বছর বয়সে চারটি ব্যালন ডি অর জিতে নিয়েছিল।’