বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই বিএনপি-জামায়াত জোটের একমাত্র লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ২১ আগস্ট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটির আয়োজন করে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, পঁচাত্তরে পরাজিত হয়েই জিয়া-মোশতাকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই বিএনপি-জামায়াত জোটের একমাত্র লক্ষ্য।
যত দিন বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনিরা এদেশে থাকবে ততদিন ষড়যন্ত্র থাকবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এই অপশক্তি যেন বাংলাদেশের ক্ষমতায় আর কখনো আসতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানো যাবে না বলে একাত্তর-পঁচাত্তরের ষড়যন্ত্রকারীরা ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের সঙ্গে নিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার বিকল্প নেই।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর-রশীদ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকতা আব্দুল কাহার আকন্দ ও তরুণ রাজনীতিবিদ ড. রাশেক রহমান প্রমুখ।