‘বিগ বস ১৪’ খ্যাত ও রাজনীতিবিদ সোনালি ফোগাট মারা যান ২২ আগস্ট রাতে। চিকিৎসকরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৪১ বছর।
শুধু সোনালি নয় এমন অনেক নারীই হয়তো প্রতিদিনই বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। তবে হার্ট অ্যাটাকের আগে নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই দেখা দেয় বিভিন্ন গুরুতর লক্ষণ। বিশেষ করে নারীদের শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ নারীদের ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যাটাকের সময় সাধারণত বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা যায়।
তবে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো বেশি গুরুতর হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
শুধু বুকে ব্যথা নয়, এর সঙ্গে- ঘাড়, চোয়াল, কাঁধ, উপরের পিঠ বা উপরের পেটে অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, বাহুতে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ঘাম, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও বদহজম দেখা দেয়।
তবে বেশিরভাগ মানুষই হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো এড়িয়ে যান বা সাধারণ ভেবে ভুল করেন। আর এ কারণেই সঠিক সময় রোগীর চিকিৎসা না হওয়ায় মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
ভারতের কোলাথুর প্রশান্ত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজিস্ট ও ক্লিনিক্যাল লিড ডা. পি. বিনোদ কুমার (এমডি, ডিএম) এর মতে, নারীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক ঘটে প্রায় ১০ শতাংশ। তাদের বেশিরভাগই বুকে ব্যথা বা অস্বস্তির লক্ষণকে গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন।
অ্যাটাকের কারণ কী?
উচ্চ কোলেস্টেরল, রক্তচাপ, স্থূলতা, মানসিক চাপ, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব ও মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের নিম্ন স্তরের প্রধান কারণগুলো মূলত নারীদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা তৈরি করে।
এছাড়া নারীরা মাল্টিটাস্কার হিসেবে ঘর-সংসার, অফিস, সন্তান লালন পালনসহ একাধিক কাজ করেন, এ কারণে তারা অত্যধিক চাপের মধ্যে থাকেন।
বেশিরভাগ নারীরাই পরিবারের সব সদস্যদের কথা চিন্তা করতে গিয়ে নিজেদের যত্ন নেওয়ার কথা ভুলে যান। ফলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন তারা। এটিও একটি কারণ যা তাদর হার্ট অ্যাটাকে ঝুঁকি বাড়ায়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া