বুধবার , ২৪ আগস্ট ২০২২ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

৩০০ আসনের পাঁচটি করে কেন্দ্রে ইভিএম চান জাফরুল্লাহ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ২৪, ২০২২ ৩:১১ অপরাহ্ণ

নির্বাচন নিয়ে জনস্বার্থ বিরোধী কিছু হলে মেরুদণ্ড শক্ত রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পদত্যাগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ইভিএমের মাধ্যমে প্রতারণার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। দেড় শ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এমন কিছু করা উচিত হবে না যাতে নির্বাচনই না হয়।

আজ বুধবার নির্বাচনর ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার কাছে মনে হলো এখনো সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনার শুনতে চান। আউয়াল সাহেবের একটা গুণ উনি জজ ছিলেন, অপর পক্ষের বক্তব্য শুনতে চান। আমি এখনো আশাকরি যে আমি আশাহত হব না, উনি নিশ্চয় সফল হবেন। শক্ত থাকবেন। এখনো আমি মনে করি, যদি জনস্বার্থ বিরোধী কিছু হয় মেরুদণ্ড শক্ত রেখে উনি পদত্যাগ করবেন।

তিনি বলেন, কমিশন খুব কঠিন অবস্থার মধ্যে চলছে। সরকারের উচিত হবে কিছুটা ‘গিভ অ্যান্ড টেক’ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আগ বাড়িয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আজকেও হানিফ (আওয়ামী লীগ নেতা) বলেছেন, দেড় শটাতে নয়, ৩০০ আসনেই ইভিএম চাই। উনাদের জন্য ভালো হবে চুপ করে থাকা। এখন ইভিএমের কারণে যদি নির্বাচনটাই বন্ধ হয়ে যায়, ইলেকশনটা যদি বয়কট হয়, তাহলে এটা জাতির জন্য খুব দুর্ভাগ্যজনক হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে ইসির মূল দায়িত্ব। ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ভুল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এমন কিছু করা উচিৎ হবে না যাতে নির্বাচনই না হয়। এজন্য আমার প্রস্তাব হলো ১৫০টির পরিবরর্তে ৩০০ আসনের পাঁচটি করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করার।

তিনি বলেন, আমি ‘না’ ভোটের বিধান প্রবর্তনের কথা বলেছি। ‘না’ ভোটের ব্যাপারে মত আছে। ইভিএম নিয়ে হঠকারিতা করতে না করেছি। বলেছি আপনাদের ওপর ধীরে দীরে আস্থা বেড়েছে। সেই সুনামটা অক্ষুণ্ন রাখার চেষ্টা করেন। সিইসি বলেছেন, আমরা ভেবে দেখি কি করে কি করা যায়।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্যরা যদি ইভিএমের কারণে বয়কট করে দায়টা ইসির ঘাড়ে চাপবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। সরকার যেমন দায়ী হবে, ইসিও তেমন দায়ী হবে। আমার কাছে মনে হয়েছে উনারা যে শতভাগ একমত হয়েছেন তা না। উনারা সরকারের চাপে আছেন, উনারা ভাবছেন।

তিনি বলেন, ইভিএম আরেকটা ভোটের চক্রান্ত। কেন দায়িত্বটা আপনি (সিইসি) নেবেন? সেজন্য বলেছি, উল্টা কাজ করতে পারেন কি-না? দেড় শটাতেই না করে তিন শটাতেই পাঁচটা করে কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের জন্য দরকার সুষ্ঠু নির্বাচন, হাসিনার জন্যও দরকার। আওয়ামী লীগ তো ইভিএমের পক্ষে জোরেশোরে ছিল। ইভিএমের মাধ্যমে প্রতারণার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে।

জাফরুল্লাহ আরো বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দিতে জোনায়েদ সাকীর পক্ষে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। এই বিষয়ে সিইসিকে বলেছি আপনি এটা শেষ (নিবন্ধন) করে দেন। তাহলে লোকে আপনাকে ভুল বুঝবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাফরউল্লাহ চৌধুরী রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কিছু দাবি নিয়ে দলটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসিতে এসেছিলেন।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে

আপনার জন্য নির্বাচিত