বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মাছের পোনা রপ্তানি হয়েছে। জীবিত পোনা বলে পণ্যের চালানটি কাস্টমসে আসার তিন ঘণ্টার মধ্যে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত ছাড় করা হয়েছে।’ ভবিষ্যতেও মাছের পোনা রপ্তানি হলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুল্কায়ন করা হবে।
রপ্তানি–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এত দিন বাংলাদেশ থেকে জীবিত মাছ রপ্তানির অনুমোদন ছিল না ভারত সরকারের। সম্প্রতি ভারত সরকার বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে জীবিত মাছের পোনা আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। রপ্তানির জন্য মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর থেকে লাইসেন্স (অনুমোদন) ও মৎস্য চালানের স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সনদ নিতে হয় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর খুলনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা লিপটন সরদার বলেন, ‘বাংলাদেশের হ্যাচারিতে উৎপাদিত ক্যাট–জাতীয় মাছের (পাঙাশ, শিং, মাগুর, কই, পাবদা) জীবিত পোনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতে। প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের আদমদীঘি উপজেলার হ্যাচারিতে উৎপাদিত ভিয়েতনামি জাতের পাঙাশ মাছের এক লাখ পোনা রপ্তানি করা হলো। এই পোনা রপ্তানির মধ্য দিয়ে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হলো। এতে যশোর ও দিনাজপুরের হ্যাচারিতে উৎপাদিত পোনার বড় বাজার সৃষ্টি হবে বলে আশা করছি।