ইতিহাসের নানা বাঁক বদলে দেশের ছাত্রসমাজের রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের পটভূমিতে এদেশের ছাত্ররাই ছিল সামনের কাতারে। ছাত্র রাজনীতির অতীতের সেই গৌরবগাথা এখন অনেকটাই ফিকে। নানা অনিয়ম-অভিযোগ আর সাংগঠনিক দুরবস্থায় নিমজ্জিত হালের ছাত্র রাজনীতি। দল বা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের ‘কলকাঠি’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো। চলছে পেশিশক্তির উদ্যাম মহড়া। গোটা ছাত্র রাজনীতিতে ক্রমশ একধরনের মেধাশূন্যতা বা বিকারগ্রস্ততার বিস্তার ঘটছে।
এরই মধ্যে বিএনপির ‘ভ্যানগার্ড’ খ্যাত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জন্য আরোপ করা হয়েছে নতুন রীতি। শুধু ‘ছাত্রত্ব’ দিয়ে ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না, হতে হবে ‘অবিবাহিত’ – এমনই রীতি ছাত্রদলের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে বিএনপি। এ নিয়ে দলটির দায়িত্বশীলদের যৌক্তিক ব্যাখ্যাও আছে। তারা মনে করেন, ছাত্ররা যেহেতু সমাজ পরিবর্তনের নিয়ামক, ফলে বিবাহিত অবস্থায় রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের পক্ষে ঝুঁকি নেওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণেই ছাত্রদলে অলিখিত অবিবাহিত শর্ত আরোপ হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, ছাত্রত্ব থাকলেই যে কোনো ছাত্র সংগঠন করার অধিকার একজন শিক্ষার্থীর রয়েছে। এছাড়া ছেলেদের ২১ এবং মেয়েদের ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করার আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। রাজনীতির দোহাই দিয়ে ছাত্রনেতাদের এ অধিকার কেড়ে নেওয়া বেআইনি ও অন্যায্য। বরং রাজনৈতিক সংগঠনের কাজই হলো ছাত্র তথা সব নাগরিকের এসব অধিকার নিশ্চিত করা। তা করতে প্রয়োজন রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করা।
ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ২০০২ সালে ছাত্র রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছি। আমাদের সময় অবিবাহিত হতে হবে এমন কোনো নিয়ম ছিল না। তারপরও আমি মনে করি ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় কারও বিয়ে করা উচিত নয়। আমি ৩৮ বছর বয়সে বিয়ে করেছি। এতে অনেক সমস্যাও হয়েছে, বয়স বেড়ে যাওয়ায় বিয়ের জন্য মেয়ে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। পারিবারিক সামাজিক জীবনে বঞ্চিত হতে হয়। সত্যি কথা বলতে ছাত্রনেতাদের কাছে স্বেচ্ছায় কেউ মেয়ে বিয়ে দিতে চান না। অনেক অভিভাবকই ছাত্র রাজনীতি খারাপ মনে করেন।’
ঢাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ-ফাইল ছবি
তিনি বলেন, নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করলে পরবর্তী সময়ে বিয়ে নিয়ে এ ধরনের সমস্যা তৈরি হয় না। ৩০ বছরের মধ্যেই ছাত্রনেতাদের বিয়ে করা উচিত।
জানা গেছে, ছাত্র রাজনীতির কারণে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি প্রয়াত শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতা ৪০ বছর বয়স পেরিয়ে বিয়ে করেছেন। কারও কারও সংসারও ভেঙেছে। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসান চল্লিশোর্ধ্ব বয়সেও অবিবাহিত।
ছাত্রদল নেতাদের ‘অবিবাহিত’ হওয়ার শর্ত প্রসঙ্গে রাজিব আহসান জাগো নিউজকে বলেন, এটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই।
ছাত্রনেতাদের বেশি বয়সে বিয়ে করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা তো হয়ই। কিন্তু সবাই তো আর নেতা হতে পারে না। নেতা হতে গেলে তো স্যাক্রিফাইস করতেই হবে।
ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল বলেন, যারা দল করার জন্য যে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত তারাই তো দলের নেতা হবেন। আমিও দলকে সময় দিতে গিয়ে ৩৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছি। তখন তো অবিবাহিত থাকতে হবে এমন কোনো শর্ত বা রীতিও ছিল না। ‘অবিবাহিত’ শর্ত থাকা উচিত কি না, এ সিদ্ধান্ত সিনিয়ররা দেবেন।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন প্রমুখ নেতার নেতৃত্বে আসার আগে থেকে বা কেউ নেতৃত্বে থাকাকালীন বিয়ে করেছেন।
বিরোধী দলে থাকাবস্থায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে বিবাহিত থাকলে তাদের ‘পিছুটান থাকে’ , অবিবাহিত শর্তের পক্ষে অবস্থানকারীদের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির বলেন, “আমি বিবাহিত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতি করেছি। অবিবাহিতদের চেয়ে আন্দোলন সংগ্রামে আমরা বেশি নেতৃত্ব দিয়েছি। সামনের সারিতে থেকেছি। তবে হাইকমান্ড ছাত্রদলের নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ‘অবিবাহিত’ হওয়ার যে শর্ত দিয়েছে, আমি মনে করি এটা বিরোধী দলের আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।”
তিনি বলেন, বিবাহিত হলে সংসার ও স্ত্রী-সন্তান থাকে। ছাত্রদের তো একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকতে হয়, গণ্ডির মধ্যে থেকে সংসার ধর্ম পালন করে সংগঠনকে প্রকৃত সময় দেওয়াটা কঠিন, যা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। এতে বিভিন্ন ধরনের পিছুটান তৈরি হয়। ফলে এক্ষেত্রে বয়সটাও কমানো উচিত।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, দলের সিদ্ধান্ত এড়ানোর সুযোগ নেই। কদিন আগে ভোলায় যে ছাত্রদল নেতা (জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম) মারা গেছেন তিনি বিবাহিত ছিলেন। যারা গুম খুন হয়েছে তাদের অধিকাংশ বিবাহিত। রাজনীতি হচ্ছে কমিটমেন্টের বিষয়। অশুভশক্তির খপ্পরে পড়ে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দলের শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই সময়োপযোগী।
ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হাসান বলেন, পয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে একটি ছেলে বিয়ে করবে, এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু ছাত্র রাজনীতিতে বিয়ের বিষয়টি অনেকেই ভালো চোখে দেখে না। এসব কথা চিন্তা করেই নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমিয়ে আনলে তা ত্রিশের নিচে নেমে আসবে। বিরোধী দলের রাজনীতিতে বয়সসীমা হঠাৎ কমালে নেতৃত্ব সংকট দেখা দিতে পারে । সবকিছু বিবেচনা করেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে বয়সসীমা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হয়েছে।
ছাত্র সংগঠনটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা বলেন, আমরা এতগুলো বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। যেখানে রাষ্ট্রের এত সমস্যা, আমাদের আন্দোলন চলছে, এই বিরূপ পরিস্থিতিতে ছাত্রদলের বিবাহিত-অবিবাহিত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার সময় নয়। দল যদি কখনো ক্ষমতায় আসে তখন এসব বিষয় ভাবার ফুসরত মিলবে। তখন সব ঠিক হয়ে যাবে।
ছাত্রদলের সাবেক একজন সভাপতি যিনি বর্তমানে বিএনপির একটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পদে রয়েছেন। ছাত্র রাজনীতির কারণে তিনিও বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন। তবে তিনি যেহেতু বর্তমানে ছাত্রদলের রাজনীতিতে নেই ফলে এ বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের সাবেক আরেক সভাপতি জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এখনকার ছেলেমেয়েরা ১২-১৪ বছরের মধ্যেই ফিজিক্যাল গ্রোথ হয়। ছেলেদের ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করার অনুমতি দিচ্ছে রাষ্ট্রের আইন। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে ‘অমানবিক নীতি’ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, মূলত নেতৃত্বে বিবাহিতদের বিষয়টি ছাত্রদলের দীর্ঘদিনের অলিখিত বিধি হিসেবে চর্চা হচ্ছে। হাইকমান্ডকে ব্ল্যাকমেইল করে সংগঠনে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। একজন শিক্ষার্থীর ২৬-২৭ বছর বয়সের মধ্যেই মাস্টার্স শেষ হয়ে যায়। ছাত্রদলের নেতৃত্ব এখন ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে। কেউ যদি রাজনীতি করতে চায় তাহলে তাকে বিয়ে না করে থাকতে হবে। এ রীতির ফলে কেউ বিয়ের তথ্য গোপন করে, কেউ আবার বিয়ে না করে অসামাজিক পন্থা অবলম্বন করে, কারও আবার পারিবারিক চাহিদা থাকলেও রাজনীতিতে লক্ষ্য থাকার কারণে বিয়ে করতে পারে না। অথচ রাজনীতি হওয়া উচিত মানুষের জন্য। রাজনৈতিক দলকে হতে হবে সামাজিক এবং মানবিক।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, বিবাহিত-অবিবাহিত ইস্যুতে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তবে আমার প্রত্যাশা, ছাত্রত্ব থাকলেই ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগ থাকা উচিত।
২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৭ বছর পর ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কাউন্সিল ঘিরে বিএনপি একটি সার্চ কমিটি গঠন করে। যার প্রধান ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ছিলেন ডাকসুর সাবেক জিএস বিএনপির বর্তমান যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। ওই সময়ই ছাত্রদলের ‘অবিবাহিত’ শর্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।
পাশাপাশি ছাত্রদল-ছাত্রলীগ-ফাইল ছবি
এ বিষয়ে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদের ভাষ্য, এটা সেটেল ইস্যু, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে মতামত দেওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখিত তিন নেতার বক্তব্য সমর্থন করে ছাত্রদলের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এখন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। রাজনীতিতে যখন সুবাতাস বইবে তখন নিশ্চয়ই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব বিষয় বিবেচনা করবেন।
এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন জাগো নিউজকে বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলন-সংগ্রামের সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রথমত বিরোধী ছাত্র রাজনীতিতে ঝুঁকিটা একটু বেশি। বিয়ের পর ছেলে-মেয়েরা সংসার সামলে রাজপথের আন্দোলনে সেভাবে থাকতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবে যাদের একটু বয়স হয়েছে তাদের জন্য ছাত্র রাজনীতির বাইরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট, কৃষক দল, শ্রমিক দল এবং মূল দল বিএনপি রয়েছে। এদেশের ছাত্ররা সবসময় সব পরিবর্তনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
ছাত্র রাজনীতিতে ‘অবিবাহিত’ শর্তের কারণে ক্যারিয়ারের চিন্তায় অনেকে ৩৫-৪০ বছর বয়সে বিয়ে করতে বাধ্য হন। এতে পারিবারিক-সামাজিক জীবনে কী ধরনের প্রভাব পড়ে, জানতে চাইলে সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, পারিবারিক অনুভূতির যে ব্যাপারটা তা হচ্ছে, বিয়ের প্রসঙ্গ এলেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপার আসে। কিন্তু এ বয়সে শারীরিক যে চাহিদা তৈরি হয়, প্রতিষ্ঠিত হতে আমাদের প্রক্রিয়ায় সময় লেগে যায়। এ দুটোর মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব আছে। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে আমাদের শারীরিক চাহিদা এবং আইনের মধ্যে একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আমরা পরিবর্তনটাকে ঝুঁকি মনে করছি। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের সামাজিক বাস্তবতার কারণে আমরা এটাকে স্বাভাবিক পালনীয় মনে করছি।
তিনি বলেন, ৩৫-৪০ বছরে বিয়ে করতে গিয়ে অনেকের শারীরিক চাহিদায় ভাটা পড়ে। এতে দাম্পত্য জীবনেও ছন্দপতন ঘটে অনেকক্ষেত্রে। এছাড়াও আরও অনেক ধরনের পারিপার্শ্বিকতা রয়েছে। বিয়ের সাথে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার শর্ত, এ জায়গাগুলো শিথিল করা প্রয়োজন।
রাজনীতি বিশ্লেষক মহিউদ্দিন খান মোহন জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রত্ব থাকলেই ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগ থাকা উচিত। বিবাহিত হলে ছাত্র রাজনীতি করা যাবে না, এমন শর্ত অবাস্তব। মাহবুবুল হক বাবলু (ছাত্রদলের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক), রাশেদ খান মেননসহ অতীতে এমন অনেক তুখোড় ছাত্রনেতাই বিবাহিত জীবনে রাজপথে ছাত্র রাজনীতি করেছেন।