বাংলাদেশের জেনারেটর মার্কেট ব্রিটিশ বা ইউরোপিয়ান জেনারেটর ডোমিনেটেড মার্কেট। এই ব্র্যান্ডের জেনারেটরের রয়েছে বিশ্ববিখ্যাত জেনুইন পারকিনস ইঞ্জিন, স্টার্ট অন ডিমান্ড এবং রিমোট মনিটরিং সুবিধা। এখানে ইওরপাওয়ার জেনারেটরের বিশেষত্ব হলো এক্সটেন্ডেড ফুয়েল ট্রাঙ্ক; যা ফুললোড করা থাকলে ১২ ঘণ্টা রি-ফুয়েলিং ছাড়াও চলতে সক্ষম। এ ছাড়া ক্যানোপির ডিজাইন এমনভাবে করা, যাতে যথেষ্ট এয়ার সার্কুলেশনের স্পেস থাকে। ফলে কেনোপির ডোর বন্ধ করেই চালানো যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এর সঙ্গে সুপার লো নয়েজ লেভেল ফিচার নিশ্চিত করছে শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ।
ঢাকা মেট্রোরেলের ১৯টি স্টেশনের মধ্য ১৪টি স্টেশনে ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য রয়েছে ইওরপাওয়ার জেনারেটর। মেট্রোরেল প্রকল্পে একমাত্র এই জেনারেটরকেই ৬টি দেশের কনসালট্যান্টরা ‘এ’ গ্রেডে অনুমোদন দিয়েছেন।
এসিআই মোটরস্ ২০১৯ থেকে ইয়ামাহ ইনভার্টার এবং কনভেনশনাল জেনারেটর বাজারজাত করে আসছে। ১ কেভিএ থেকে ১০ কেভিএর এই সিঙ্গেল ফেজের জেনারেটরগুলোতে রয়েছে কম্পিউটার কন্ট্রোল ফুয়েল ইকোনমি সিস্টেম, যার ফলে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হয়ে থাকে। ভাইব্রেশন অনেক কম থাকায় আউটপুটে যেসব লোড কানেকটেড থাকে, তার ফ্রিকোয়েন্সি ঠিক থাকে। ফলে পুড়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।
এর সঙ্গে সাউন্ড বা নয়েজ লেভেল কম হয়ে থাকে। অন্যান্য জেনারেটর থেকে জাপানিজ ইঞ্জিনে তৈরি ইয়ামাহ পেট্রোল জেনারেটরের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৩০ শতাংশ কম। এ ছাড়া ইয়ামাহ জেনারেটরের সঙ্গে রয়েছে ইএমআইতে কেনার সুবিধা, ১২ মাসের ওয়ারেন্টি, ফ্রি হোম ডেলিভারি এবং ইনস্টলেশন।
২০১৯ সাল থেকে এসিআই মোটরস্ স্পেনের হিমোইনসা ডিজেল জেনারেটর বাজারজাত করে আসছে। হিমোইনসা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জেনারেটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি কারখানায় বছরে ৬০ হাজারের বেশি জেনারেটর তৈরি করে হিমোইনসা। হিমোইনসা ডিজেল জেনারেটর স্বল্প জ্বালানি খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।
এ ছাড়া জেনারেটরটিতে রয়েছে বিশ্বখ্যাত জাপানিজ ইয়ারমান ইঞ্জিন, আধুনিক প্রযুক্তির রিমোট মনিটরিং সিস্টেম, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল প্রোটেকশন ডিভাইস। ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ডে স্পেনের তৈরি হিমোইনশা জেনারেটরের লো নয়েজ ফিচার নিশ্চিত করে শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ। এই জেনারেটরে আছে ‘সাউন্ড অ্যাটেন্যুয়েশন’, তাই অন্যান্য জেনারেটরের তুলনায় সবচেয়ে কম শব্দ অনুভূত হয়। ফলে এই জেনারেটর চালু থাকা অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলা সম্ভব।
ব্লকলোড টেকিং ক্যাপাসিটিতে জাপানিজ ইয়ানমার ইঞ্জিন বিশ্বখ্যাত। অন্য ইঞ্জিনগুলো যেখানে ৩০ শতাংশর বেশি ব্লকলোড নিতে পারে না, সেখানে ৬০ শতাংশের বেশি ব্লকলোড নিতে পারে ইয়ানমার ইঞ্জিন। হ্যামারিং লোডেও ইয়ানমার কনস্ট্যান্স পারফর্ম করতে পারে। বর্তমানে বিশ্ব এমন একটা পরিস্থিতিতে চলে এসেছে, যেখানে জ্বালানি সাশ্রয় করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের বাজারে যতগুলো জেনারেটর পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জ্বালানি–সাশ্রয়ী হিমোইনশা ডিজেল জেনারেটর। অন্যান্য জেনারেটরের তুলনায় এটিতে ১৫ শতাংশ কম জ্বালানি খরচ হয়।
নিয়মিত ব্যবহার না হলে সাধারণ জেনারেটর জরুরি প্রয়োজনে পাওয়ার সাপোর্ট দিতে পারে না। কিন্তু ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে তৈরি ইঞ্জিনগুলো লম্বা সময় বন্ধ থাকলেও যখনই প্রয়োজন পাওয়ার সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়াও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে দেশের আবাসন খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রজেক্ট এবং কলকারখানায় আস্থার সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে এসিআই মোটরসের জেনারেটরগুলো।
সম্প্রতি এসিআই মোটরস্ উদ্বোধন করেছে তাদের সার্ভিস অ্যাপ ‘পাওয়ারএক্স’। এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে একজন গ্রাহক তার সার্ভিসিং–সংক্রান্ত টিকিট জেনারেট করে স্বল্প সময়ে সার্ভিস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারবে। এ ছাড়া যেকোনো ধরনের স্পেয়ার পার্স–সংক্রান্ত তথ্য এবং ক্রয়সংক্রান্ত সার্ভিস অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহক সম্পন্ন করতে পারবেন। এসিআই মোটরস্ অ্যাপের মাধ্যমে কাস্টমার স্যাটিসফেকশন পর্যালোচনা করতে এবং সার্ভিসের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
এসিআই মোটরস্ ইউরোপিয়ান ও জাপানিজ জেনারেটরগুলোর সঙ্গে যেসব ভ্যালু অ্যাড করেছে, সেগুলো হলো সার্ভিস, বিক্রয়োত্তর সেবা এবং শতভাগ স্পেয়ার পার্স ইনভেন্টরি। সারা দেশে এসিআই মোটরসের সার্ভিস নেটওয়ার্ক রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে রয়েছ স্ট্যান্ডবাই টেকনিশিয়ান। সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা ‘সার্ভিস অন-দ্য-স্পট’ দিতে প্রস্তুত এসিআই মোটরসের সার্ভিস টিম।
যোগাযোগ: এসিআই মোটরস্, এসিআই সেন্টার, ২৪৫, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮।
মোবাইল: ০১৭০৪–১২৪০২০, ০১৩২২–৮৭৬৪০৮ (ইওরপাওয়ার, হিমোইনশা) ০১৩২৪–৭৩২৬৩৯ (ইয়ামাহ)। ই–মেইল: muntazir@aci-bd.com