শুক্রবার , ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

পাকিস্তানের যে এলাকা ১০ ফুট পানির নিচে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২, ২০২২ ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

শেরি রহমান আরও জানান, দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ জেলা এখন পানির নিচে। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের এক–তৃতীয়াংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যা আয়তনের প্রায় যুক্তরাজ্যের সমান।

দাপ্তরিক তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত জেলার সংখ্যা ১১০টিতে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বেলুচিস্তানের ১১০টি, খাইবার পাখতুনখাওয়ার ৩৩টি, সিন্ধু প্রদেশের ১৬টি আর বাকিগুলো পাঞ্জাব, গিলগিট–বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের।

১০ ফুট পানির নিচে

সিন্ধু প্রদেশের দাদু জেলা ভয়াবহ প্লাবনের কবলে পড়েছে। খায়েরপুর নাথান শাহ শহর তলিয়ে গেছে। জোহি ও মেহার এলাকার বাসিন্দারা নিজেদের শহরগুলো রক্ষায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে। পানির স্তর বাড়তে থাকায় জোহির ৫০ হাজার বাসিন্দা আর অন্যান্য বন্যাকবলিত গ্রাম থেকে আশ্রয়ের খোঁজে আসা ১০ হাজার মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

খায়েরপুর নাথান শাহে বন্যার পানির স্তর বেড়ে ১০ ফুটে গিয়ে ঠেকেছে। হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। লোকজন খাবারের সন্ধানে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ছুটছেন বলে জানান স্থানীয় নাগরিক কমিটির সভাপতি হাফিজ আমিন জামালি।

আরও পড়ুন

‘পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে’

পাকিস্তানে বন্যায় গ্রামের পর গ্রাম ডুবে রয়েছে।  দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হেলিকপ্টারে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

সিন্ধু মহাসড়ক তলিয়ে যাওয়ায় অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মেহার। শহর রক্ষায় বাঁধের উচ্চতা বাড়িয়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। পরিবার নিয়ে বন্যাকবলিত এলাকাতেই থাকার কথা জানিয়ে ২০ বছর বয়সী দামশাদ আলি বলেন, ‘আমরা সকাল থেকেই এই বাঁধ তৈরি এবং শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি।’ দাদু শহরও চারদিক থেকে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ভয়াবহ বন্যায় সিন্ধু প্রদেশের দাদু জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

ভয়াবহ বন্যায় সিন্ধু প্রদেশের দাদু জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
ছবি: এএফপি

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত বেড়ে ১ হাজার ১৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের ৩৯৯ জনই শিশু। চলতি মাসে আরও বৃষ্টির পাশাপাশি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

উদ্ধার অভিযান শুরুর পর সামরিক বাহিনী ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে এনেছে। প্রায় এক হাজার জনকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন

বন্যার্তদের সহায়তা করতে বিশ্বকে পাকিস্তানের আহ্বান

পাকিস্তানের হায়দরাবাদে বন্যায় তলিয়ে গেছে একটি রাস্তা

সর্বশেষ - আইন-আদালত