বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘আজ থেকে আমরা (যুবলীগ) মাঠেই থাকবো। মাঠে থেকেই বিএনপির সব নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র ও হিংসার দাঁতভাঙা জবাব দেবো।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে থেকে তিনি (তারেক রহমান) আপনাদের (বিএনপি নেতাকর্মী) বিপথগামী করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তারেক রহমান যদি এতই বড় নেতা হয়ে থাকেন, তাহলে দেশে আসুক। পারলে আমাদের মোকাবিলা করুক।’
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর ফার্মগেটে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে এ কর্মসূচি করা হয়।
একই সময়ে এদিন ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যঅভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগও বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে। এছাড়া দেশব্যাপী যুবলীগের বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও উপজেলা শাখা একই কর্মসূচি করেছে। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য, তাণ্ডব ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি করে যুবলীগ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে উৎকৃষ্ট রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও মানবিকতার উদাহরণ হয়ে উঠেছে, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত তাদের মিথ্যা ও নৈরাজ্যের রাজনীতির অবতারণা করছে। এটাই তাদের চরিত্র।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আমরা যারা এ প্রজন্ম বড় হয়েছি, পাঠ্যপুস্তকসহ রাজপথেও জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলতে পারিনি। ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বিএনপি। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের প্রকৃত ইতিহাস ফিরে এসেছে।’
শেখ পরশ বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। সেই মুহূর্তে বিএনপি তাদের মিথ্যাচার শুরু করেছে। তিন-চার বছর ধরে আপনাদের খবর নেই, এসি রুমে বসে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এঁকেছেন। নির্বাচন সামনে, এখন জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস করেন। এ কারণেই দেশের জনগণ আপনাদের প্রত্যাখান করেছে। আগামী দিনেও জনগণ আপনাদের পাশে থাকবে না।’
যুবলীগ নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে জায়গায় নিয়ে গেছেন, বিএনপি-জামায়াত যেন তা ধ্বংস করতে না পারে। যদি বিএনপি-জামায়াত এ দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটায়, জনগণের বন্ধু পুলিশের ওপর হামলা করে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজপথে থেকে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল, অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আবদুর রহমান, উপ-পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, উপ-মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা শারমিন প্রমুখ।