নড়বড়ে কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার করে ভোগান্তিতে ফেনীর দাগনভূঞার মোমারিজপুর, ডমুরিয়া ও আশ্রাফপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। প্রশাসনসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে বহুবার দ্বারস্থ হয়েও কাঠের সেতুর কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এক সময় নৌকাই ছিল পারাপারের মাধ্যম। পরে স্বেচ্ছাশ্রমে ভিত্তিতে বাঁশের সেতুটি তৈরি করা হয়।
গত সাত বছর আগে বাঁশের সাঁকোর স্থলে মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মাণ করেন কাঠের সেতু। দিনে দিনে সেটিও জীর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মোমারিজপুর, ডমুরিয়া ও আশ্রাফপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের ভরসা এই সেতু। প্রতিদিন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। বেশ কয়েকবার ছোটখাটো দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে ঝুঁকি নিয়ে হলেও ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাদের দাবি, এই স্থানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের।
মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অতি তাড়াতাড়ি নতুন করে পাকা ব্রিজ করে দেওয়ার প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তবে এ মাসে প্রকল্প পরিচালক আসবেন; তিনি দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি যুগান্তরকে জানান, ওই এলাকা পরিদর্শন করে ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহিন মুন্সি যুগান্তরকে জানান, অচিরেই এই নড়বড়ে কাঠের সেতুর পরিবর্তে পাকা সেতু নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।