ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে পদত্যাগ করা ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর করা আবেদন তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আগামী ৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ ( এএম) আমিন উদ্দিন। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট বি এম ইলিয়াস কচি।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদেশের বিষয়টি আইনজীবীরা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৮ আগস্ট এফবিসিসিআই থেকে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল ও তাদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধের জন্য করা আবেদন তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাণিজ্য সচিব, মহাপরিচালক ও এফবিসিসিআই সভাপতিকে তিন মাসের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে এফবিসিসিআই। সেটি শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন চেম্বার জজ আদালত।
এর আগে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব-সদস্যপদ ও আইনবিষয়ক) মো. রফিকুল ইসলামসহ ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন। ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২০২১ সালের ২০ জুন প্রথম এবং সর্বশেষ ২১ আগস্ট বিবাদীদের কাছে প্রতিকার প্রার্থনা করে লিখিত আবেদন করেছিলেন।
তবে তাদের আবেদনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাণিজ্য সংগঠনগুলোর (ডিজি) এবং এফবিসিসিআই সভাপতি কর্ণপাত করেননি। তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং প্রাপ্য বেতন-ভাতা পরিশোধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রিট আবেদন সূত্রে জানা গেছে, চাকরিতে পুনর্বহাল ও বকেয়া পাওনার দাবিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে (এফবিসিসিআই) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল সংগঠনটির সাবেক ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী পক্ষ থেকে। এরপরও পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর এফবিসিসিআই থেকে ৬২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে পদত্যাগ করানো হয়। তাদের দাবি তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের চাপে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।