জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে প্রায়ই সর্বভারতীয় দাবি উত্থাপন করে উপমহাদেশে রাজনৈতিক উসকানি ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে। সর্বভারতীয় দাবি অপ্রাসঙ্গিক, প্রয়োজন আঞ্চলিক জোট গঠন করা।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
এতে বলা হয়, ইতিহাসে ‘ভূ-রাজনৈতিক’ বিবেচনায় এ অঞ্চল কয়েক হাজার বছর ধরে অসংগঠিত শক্তি হিসেবে বিচ্ছিন্ন অবস্থানে পতিত ছিল। রাজনৈতিক সঞ্চালনশীলতা ও ঐতিহাসিক অনিবার্যতায় উপমহাদেশে জাতিরাষ্ট্র বা রাষ্ট্রসমূহ প্রতিষ্ঠার কারণে এ অঞ্চল অতীতের বিচ্ছিন্নতাকে অতিক্রম করে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগ ও অন্যতম শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
তিনি বলেন, ইতিহাস পর্যবেক্ষণ ও পুনর্পরীক্ষা করে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় আত্মসত্তার রাজনীতিতে ভারত, পাকিস্তান এবং মুক্তি সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ ‘জাতিরাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সর্বভারতের দাবি অপ্রাসঙ্গিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত হয়ে পড়েছে।
ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সমরনীতির ফলে আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক জোট গঠন অপরিহার্য দাবি করে রব বলেন, উপমহাদেশের প্রতিটি রাষ্ট্র ভূ-অর্থনৈতিক ও ভূ-সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও পরস্পর সংলগ্ন। সুতরাং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক জোট গঠন করেই প্রতিটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং নৃতাত্ত্বিক সাংস্কৃতিক বিকাশ জোরদার হতে পারে।
সর্ব ভারতীয় দাবি উত্থাপন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিরোধ উসকে দেওয়ার পাঁয়তারা থেকে সব পক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে জেএসডি সভাপতি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সংযোগ সড়ক, গ্যাস, বিদ্যুৎশক্তি ও পানি সম্পদের ওপর ভিত্তি করে উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলের প্রত্যেকটি রাষ্ট্র তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন করতে পারে। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ আর্থিক উন্নতি, দারিদ্র বিমোচন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সংহতি আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল।