রবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

শিখছে পরিবার-সমাজ থেকে শিশুর অবুঝ মনে ঢুকছে বর্ণবৈষম্য

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ ৩:৩৯ অপরাহ্ণ

রাজধানীর একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী তাসনিয়া (ছদ্মনাম)। হঠাৎ একদিন বাসায় এসে মন খারাপ করে বসে থাকে। কারণ জানতে চাইলে স্কুলে আর যাবে না বলে জানায়। কিন্তু তার এভাবে বেঁকে বসার কারণ কী? জানা গেলো, গায়ের রং শ্যামলা বলে সহপাঠী তার সঙ্গে খেলতে চায় না। নিজেকে নিয়ে এ ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য শুনে স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে অনীহা তৈরি হয়েছে শিশুটির।

তাসনিয়ার মা বলেন, গায়ের রং শ্যামলা হওয়ায় স্কুলে তাসনিয়ার সঙ্গে খেলবে না তার সহপাঠী। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষকরা বলেছেন, ওই শিশুর অভিভাবককে জানাবেন।

 শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন সে তার পরিবার, স্কুল এবং চারপাশ দেখে শেখে। বাসায় বাবা-মা যে আচরণ করেন, স্কুলে যে কথা শুনে, পাঠ্যপুস্তকে যা পড়ে, সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব মাধ্যমে যা দেখে সেই আচরণই সে করতে থাকে। তাই শিশুর বৈষম্যমূলক আচরণ কিন্তু তার পারিপার্শ্বিকতা থেকে শেখা। এজন্য শিশুর বাবা-মায়ের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিশুটি তো নিজে থেকে কালো-সাদার পার্থক্য শেখেনি। তার পরিবার বা আশপাশ থেকে এসব শিখেছে। তাই তার পরিবারকে আগে সতর্ক হতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের বর্ণবৈষম্য এতটাই ভয়াবহ যে, অনেক সময় সন্তানের স্কুলই পরিবর্তন করতে বাধ্য হন অভিভাবকরা।

child-4

অনেক সময় দেখা যায় এক সহপাঠী আরেকজনের সঙ্গে খেলতে চায় না-সংগৃহীত ছবি

 শিশুরা কেন বর্ণবৈষম্যে ভুগবে, এটার তো প্রশ্নই আসে না। আমার মনে হয় এ জন্য দায়ী পরিবার। পরিবারের ভেতরে বাবা-মা, অভিভাবকরা যে আলোচনা করেন, যেভাবে নিজেদের জীবন পরিচালনা করেন সেখান থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয় শিশুরা। শিশুদের মধ্যে যদি বর্ণবৈষম্য ছড়িয়ে পড়ে এটা খুবই দুঃখজনক।

এমনই একটি ঘটনা ঘটে রাজধানীর ইংরেজি মিডিয়ামের একটি স্কুলে। স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব (ছদ্মনাম) সহপাঠীদের নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করে। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে স্কুল পরিবর্তন করতে বাধ্য হন তার অভিভাবকরা।

সাকিবের মা বলেন, স্কুল পরিবর্তন করেও তো সমাধান মেলেনি। আমার শিশুর গায়ের রং নিয়ে এখনও মন্তব্য শুনতে হয়। মাঝে মধ্যে সে খুব হতাশা প্রকাশ করে। অভিভাবক হিসেবে এসব দেখে আমাদেরও ভালো লাগে না।

বর্ণবৈষম্য নিয়ে পরিবারের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও সচেতনতা জরুরি বলে মনে করেন এই অভিভাবক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীসহ সারাদেশে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। সেসব ঘটনা খুব একটা সামনে আসে না। তবে শিশুদের অবুঝ মনে যে বর্ণবৈষম্য ঢুকে যাচ্ছে তা অনেকটা স্পষ্ট। পরিবার ও সমাজ থেকে এসব শিখছে তারা। শিশুদের অবুঝ মনে জায়গা করে নিচ্ছে সাদা-কালো, ধনী-গরিব ও ধর্মের ব্যবধান। তাই এসব ব্যবধান মাথায় রেখেই বেড়ে উঠবে শিশুরা। এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে না পারলে সুন্দর সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা কঠিন।

 শিশুদের পৃথক করে দেখা যাবে না। সেটি ক্লাসেও না, বাসায়ও না। তোমার চেহারা ভালো না, তোমার ধর্ম ভালো না এসব তো বলা যাবেই না। বর্ণবৈষম্য পারিবারিকভাবে আসতে পারে। পরিবারকে এ বিষয়ে সচেতন হকে হবে। শিশুরা যাতে নেতিবাচক বিষয় না শেখে সে বিষয়ে সবারই সচেতন থাকতে হবে।

এডুকেন ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক (লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ড. জিএম নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, একটা শিশুকে যদি বলা হয়- ‘তুমি কালো’, তা কিন্তু সেই শিশুর জন্য সহ্য করা কঠিন। এখন তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলে ভালো রেজাল্টের চিন্তা করে। আসলে মানবিকতা ও আচার-ব্যবহারের ওপর জোর না দিয়ে শুধু পরীক্ষার জন্য পড়ানো হলে এসব বৈষম্য থেকে যাবে। সব মানুষ যে সমান, কাউকে আলাদা করে দেখা যাবে না- এসব শিক্ষা স্কুল-কলেজে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না। পারিবারিক ক্ষেত্রে অনেক বাবা-মা হয়তো এই শিক্ষাটা দিচ্ছেন না কিংবা তারা নিজের অজান্তে এসব ব্যবধান শিশুর সামনে তুলে ধরছেন। মূলত শিশুরা চারপাশ অবজারভ করে এবং সেভাবেই শেখে তারা। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

child-4

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো রেজাল্ট যতটা গুরুত্ব পায় ভালো আচরণ শিক্ষা ততটা গুরুত্ব পায় না-সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এ ধরনের সমস্যা আগেও ছিল, এখনও আছে। আসলে শিশুরা পরিবার, বাবা-মা, ভাইবোন এবং আশপাশের মানুষকে দেখে শেখে। সেখানে যদি গায়ের রং ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হয় তাহলে শিশুরা সেগুলো শিখে। এসব মন্তব্য শুনে কিন্তু অন্য শিশু নিজের শরীর দেখে নিজেই লজ্জা পায়। আবার একটা শিশু গরিব না কি ধনী সেটা তো স্কুলে ভর্তির সময়ই চিহ্নিত করা হয়। যেমন- পরিবারের আয় কত এসব। এগুলো কেন ভর্তির ফরমে জানতে হবে? আয় কম হলে কি স্কুল অভিভাবককে টাকা দেয়? এছাড়া ভর্তির ফরমে শিশুর ধর্মের বিষয়ে কেন জানতে চাওয়া হয়? স্কুল কি খাবারের আয়োজন করে নিয়মিত যে হিন্দু হলে খাসি আর মুসলমান হলে গরুর মাংস দেবে। ভর্তির ফরমে তার বাবার শিক্ষা কি, মায়ের শিক্ষা কি- এসব জানতে চাওয়া হয়। এগুলো কিন্তু শিশুদের আমরাই শেখাচ্ছি, এসব থাকা উচিত নয়।

তিনি আরও বলেন, স্কুলে শিশুদের ভর্তির ক্ষেত্রে যে তথ্যগুলো অনিবার্য যা না হলেই নয়, সেগুলো জানতে হবে। তার ধর্ম-বর্ণ, বাবা-মায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বাবার আয় কত এগুলো জানার কোনো দরকার নেই। এগুলো বাদ দিতে হবে। এসব শিশু তো এক সময় পরিবার গঠন করবে। প্রথমেই যদি শিশুদের থেকে ভালো কিছু করানো যায়, তাহলে এক সময় তারা সঠিকভাবে সবকিছু করবে।

ঢাবির এই মনোবিজ্ঞানী প্যারেন্টস অ্যান্ড টিচারস অ্যাসোসিয়েশন (পিটিএ) নামে একটি সংস্থার কথা বলেন। তিনি জানান, মূলত শিশুরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়, যে কারণে স্কুলে যেতে চায় না সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সংস্থাটি।

এ ধরনের কার্যক্রম সব স্কুলে থাকলে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা যেত। সেই সঙ্গে যেসব অভিভাবক বৈষম্যমূলক আচরণ শেখায় তাদের সতর্ক করা হতো। শিক্ষকরা এর সঙ্গে থাকলে তাদেরও সতর্ক করা যেত বলে জানান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন।

সিদ্ধিরগঞ্জের আল হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল অদুদ জাগো নিউজকে বলেন, শিশুদের বর্ণবৈষম্যের ঘটনা মাঝে মধ্যে আমাদের সামনে আসে। সবচেয়ে বেশি গায়ের রং নিয়ে মন্তব্য হয়, ধর্ম নিয়েও মন্তব্যের বিষয়ে কয়েকবার অভিযোগ এসেছে। আমি নিজে ক্লাসে গিয়ে শিশুদের বুঝিয়েছি, তারা বলেছে এটা তাদের ভুল। এখন আবার ক্লাসে ছেলেমেয়ের গ্রুপিংটাও দেখা যাচ্ছে। আমরা বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য আন্দোলনও করছি। শিশুদের মধ্যে যেন বৈষম্য না ঢোকে, ধনী-গরিব বৈষম্য না বোঝে সেজন্য এক রকম হয় পোশাক।

child-4

শিশুদের মানবিকতার শিক্ষা দিতে এগিয়ে আসতে হবে বড়দের-সংগৃহীত ছবি

শিশুরা যাতে বৈষম্যহীণভাবে বেড়ে উঠতে পারে এজন্য শিক্ষকসহ পরিবারের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সামাজিক প্রেক্ষাপটে নাটক-সিনেমায় যাতে শিশুরা ভুল মেসেজ না পায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। শিশু কিন্তু পরিবার থেকেই বেশিরভাগ মেসেজ পায়। একটি শিশু কিন্তু এক জায়গা থেকে শেখে না। সে আশপাশের পরিবেশ থেকে শেখে নিজের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে অন্যকে কটাক্ষ করে। শিক্ষকদের উচিত এই সুযোগটা যাতে শিশুরা না পায়। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনেক। শিশুদের এ ধরনের মন্তব্য করতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করা উচিত।

মিরপুর উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন বলেন, শিশুদের পৃথক করে দেখা যাবে না। সেটি ক্লাসেও না, বাসায়ও না। তোমার চেহারা ভালো নয়, তোমার ধর্ম ভালো নয় এসব তো বলা যাবেই না। বর্ণবৈষম্য পারিবারিকভাবে আসতে পারে। পরিবারকে এ বিষয় সচেতন হতে হবে। শিশুরা যাতে নেতিবাচক বিষয় না শেখে সে বিষয়ে সবারই সচেতন থাকতে হবে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈষম্যমূলক মন্তব্য শিশুর মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাদের মধ্যে তৈরি করতে পারে এক ধরনের হতাশা।

এ বিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. হেলাল উদ্দীন আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, শিশু যখন বড় হতে থাকে তখন সে তার পরিবার, স্কুল এবং চারপাশ দেখে শেখে। বাসায় বাবা-মা যে আচরণ করেন, স্কুলে যে কথা শুনে, পাঠ্যপুস্তকে যা পড়ে, সোশ্যাল মিডিয়াসহ সব মাধ্যমে যা দেখে সেই আচরণই সে করতে থাকে। তাই শিশুর বৈষম্যমূলক আচরণ কিন্তু তার পারিপার্শ্বিকতা থেকে শেখা। এজন্য শিশুর বাবা-মায়ের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। পারিবারিক কথা বলাকে পরিবর্তন করতে হবে, নাটক-সিনেমা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সংবেদনশীল হতে হবে। কারণ শিশু এগুলো জন্মসূত্রে শেখে না। এটা সে আশপাশ থেকে শেখে।

পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, এখন একটি শিশু এমন বললো হয়তো তাকে সতর্ক করলাম। কিন্তু আসলে হতে হবে প্রো-অ্যাকটিভ। সে যাতে এ ধরনের কথাগুলোর মধ্য দিয়ে না যায়। এই শিক্ষা পরিবার যেমন দেবে তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দেবে। তাকে নিষেধ করা বা ভয় দেখানোটা সেকেন্ডারি। প্রাইমারিলি তাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সতর্ক করতে হবে। সরকারের যারা নীতিনির্ধারক রয়েছেন তাদেরও দেখতে হবে বিষয়টি। একটা শিশুর শারীরিক বিকাশের সঙ্গে মানসিক বিকাশ, তার জ্ঞানের বিকাশ, মানবিক গুণের চর্চা সমান গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সাঁতার শেখানো, শরীরচর্চা ইত্যাদির পাশাপাশি মানসিক উৎকর্ষের জায়গাটিতেও নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে শিশুদের ওপর আরোপিত হতে হবে।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম জাগো নিউজকে বলেন, শিশুরা কেন বর্ণবৈষম্যে ভুগবে, এটার তো প্রশ্নই আসে না। আমার মনে হয় এজন্য দায়ী পরিবার। পরিবারের ভেতরে বাবা-মা, অভিভাবকরা যে আলোচনা করেন, যেভাবে নিজেদের জীবন পরিচালনা করেন সেখান থেকে ইনফ্লুয়েন্স হয় শিশুরা।

তিনি আরও বলেন, শিশু দের মধ্যে যদি বর্ণবৈষম্য ছড়িয়ে পড়ে এটা খুবই দুঃখজনক। এটাকে আমাদের রোধ করতে হবে। শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠান হলে আমরা শিশুদের কিছু ভালো কথা বলি, তার মধ্যে এগুলোও আছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। সব জায়গায় বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। শিশুরা একে অপরের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করবে, কোন বিষয়গুলো পরিহার করবে সেগুলো শেখাতে হবে শিক্ষকদের। এজন্য একটা উপদেশমূলক বই থাকা উচিত। কারণ পরিবারের পরই তো স্কুল, সেখানেও শিশুরা অনেক কিছু শেখে।

এ বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রটেকশন চিফ নাতালি ম্যাক্‌কউলে জাগো নিউজকে বলেন, সমাজে বিদ্যমান কাঠামোগত অসমতা ও পক্ষপাতিত্ব, যা এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্ম শেখে, বৈষম্যমূলক আচরণ তারই প্রতিফলন। এ শৃঙ্খল ভাঙার এক অনন্য ক্ষমতা শিশুদের আছে। প্রতিটি শিশুর একটি বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার আছে। প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে, একজন শিক্ষক, বাবা-মা, জনপ্রতিনিধি এবং রোল মডেল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নিজেদের কাজের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে সমতা ও অবৈষম্যের মূল্যবোধ গড়ে তোলা।

 

সর্বশেষ - আইন-আদালত

আপনার জন্য নির্বাচিত