মধ্য বাঞ্চানগর এন আহম্মদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবিদা নাজমীন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয় সংরক্ষিত ছুটি দিয়েছেন।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মাঠে অনুষ্ঠান করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিপুল লোকসমাগম হয়েছে অনুষ্ঠানে। আয়োজন এত বড় যে অন্য কোনো জায়গায় করা যেত না।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ওরফে রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্য নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল আজ। সকাল নয়টা থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বিদ্যালয় দুটির যৌথ মাঠে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন।

এরপর সকাল ১০টা থেকে মাইকে বিভিন্নজন বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এতে বিদ্যালয় দুটির কর্তৃপক্ষ পাঠদান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। পরে বেলা পৌনে ২টার দিকে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবক প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয়ের মাঠে বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ করা হচ্ছিল। এ কারণে সপ্তাহব্যাপী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘ্নিত হয়েছে। শহরের কোনো মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলে স্কুল বন্ধ রাখার প্রয়োজন হতো না। শিক্ষার্থীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।
বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি চেয়ে কেউ আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন।
তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান। সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা এম আলাউদ্দিন, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।