মঙ্গলবার , ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বড় বিনিয়োগে যাচ্ছে আনোয়ার গ্রুপ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ ৮:২২ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ার গ্রুপ বর্তমানে বস্ত্র, ইস্পাত, সিমেন্ট, আবাসন, ব্যাংক, বিমা, অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ে জড়িত। তাদের কোম্পানির সংখ্যা ১৮। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৪ হাজার মানুষ কাজ করছেন। আনোয়ার গ্রুপকে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে আসার মূল নায়ক প্রয়াত আনোয়ার হোসেন। তিনি ব্যবসা শুরু করেন ১৯৫৩ সালে। তবে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা শুরু হয় ১৮৩৪ সালে। সেই হিসাবে আনোয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাকাল ১৮৩৪ সাল।

মালা শাড়ি—বাংলাদেশের শাড়ির জগতে প্রথম সুপরিচিত ব্র্যান্ড। দেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এই শাড়ি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে বিয়ে মানেই ছিল মালা শাড়ি। বাজারে তখন আমদানি করা ও অবাঙালিদের কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন শাড়ি ছিল। সব শাড়িকে হটিয়ে বাজার দখল করে নেয় মালা শাড়ি। ১৯৬৮ সালে আনোয়ার হোসেন ‘আনোয়ার সিল্ক মিলস’ প্রতিষ্ঠা করে মালা শাড়ি বাজারে আনেন। পরে স্পিনিং ও ডায়িং কারখানা স্থাপন করে আনোয়ার গ্রুপ।

বস্ত্র খাতে পুরোনো কোম্পানিগুলোর একটি আনোয়ার গ্রুপ নতুন করে ডেনিম কাপড় উৎপাদনে মুন্সিগঞ্জে নতুন কারখানা করতে যাচ্ছে। মূলত আনোয়ার জুট স্পিনিং মিলের কারখানার ৭৫ বিঘা জমিতে পরিবেশবান্ধব ডেনিম কারখানা স্থাপনে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তারা। কারখানাটিতে মাসে ২৫ লাখ গজ ডেনিম কাপড় উৎপাদিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ৭০০-৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সুবাদে তারা মাসিক উৎপাদন ৪৫ লাখ গজে উন্নীত করতে চায়।

মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আশা করছি, ২০২৩ বা ২০২৪ সালে ডেনিম কারখানায় প্রথম ধাপের উৎপাদন শুরু করতে পারব। ডেনিম কাপড়ের পুরোটাই প্রচ্ছন্ন রপ্তানি হবে। এতে ১ হাজার ৮০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বেশি দামের (হাই ভ্যালু) ডেনিম কাপড় তৈরি করব। আপাতত ডেনিম কাপড়ের জন্য প্রয়োজনীয় সুতা আমাদের স্পিনিং মিল থেকেই আসবে। পরে নতুন আরেকটি স্পিনিং মিল করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪০টি ডেনিম কাপড় উৎপাদনের মিল রয়েছে। তারপরও ডেনিম কাপড়ের চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়।

১৯৭৮ সালে ইস্পাত খাতে পদার্পণ করে আনোয়ার গ্রুপ। বর্তমানে তাদের টঙ্গীর কারখানায় বছরে আড়াই লাখ টন রড উৎপাদন হয়। কারখানাটির সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে চলতি বছরের মধ্যে উৎপাদন ৩ লাখ টনে উন্নীত করা হবে। তবে ইস্পাত খাতে নিজেদের বাজার হিস্যা বাড়াতে মুন্সিগঞ্জে নতুন কারখানা করবে তারা। ইতিমধ্যে কারখানার ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে।

নতুন ইস্পাত কারখানার উৎপাদন সক্ষমতা হবে বার্ষিক ১৬ লাখ টন। প্রথম ধাপে ৮ লাখ ও দ্বিতীয় ধাপে আরও ৮ লাখ টন সক্ষমতা যুক্ত হবে। এ কারখানায় ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ ও সাড়ে ৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর মধ্যে ৪০০ জন প্রকৌশলী।

বস্ত্র ও ইস্পাত খাতে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও একেবারেই নতুন ব্যবসা হিসেবে কাগজ উৎপাদনে আসছে আনোয়ার গ্রুপ। মুন্সিগঞ্জে ৬৫ বিঘা জমিতে হবে তাদের কাগজকল। প্রকল্পটি এখনো পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে।

সর্বশেষ - আইন-আদালত