আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ৪র্থ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় একথা জানানো হয়। এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এডিস বা ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও ২০২০,২১ ও ২২ সালসহ এই তিন বছর আমাদের সমসাময়িক দেশগুলোর তুলনায় আমরা সফলতা অর্জন করলেও আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছেতে পারিনি। বর্তমানে আবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের পর আমরা ক্লাস্টারভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর প্রতিটা ওয়ার্ডকে ১০ জোনে ভাগ করে কাউন্সিলরকে প্রধান করে কমিটি করে দিয়েছি। এরপর ওইসব এলাকায় কি পরিমাণ মশা নিধনের জন্য ওষুধ লাগবে তা নির্ণয় করে তা আমদানি করা বা মজুদ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনবল সংকটছিলো একদিনে ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে ফগার মেশিন ছিলে না সেখানে কেনার জন্য ত্যাৎক্ষণিকভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে এক কোটি থেকে ৭ কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মশা নিধনের প্রতিশেধক আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। জনগণকে সব কাজে অংশগ্রহণ করা দরকার।’স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আজকে সভাটি ডাকার উদ্দেশ্য হলো, যতো কম সংখ্যক লোক আক্রান্ত হোক অন্য দেশের তুলনায়, মৃত্যু হলে তা আমাদের ব্যথিত করে। এ বিষয়টা নিয়ে আমরা সত্যি উদ্বিগ্ন।’ এসময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহিদুল্লা খন্দকার, ওযাসার চেয়ারম্যান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।