দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ৩ হাজার ৮৩০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন কমপক্ষে নয়জন। তবে বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে এই সংখ্যা কম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফুর বলেন, ‘সিন্ধু প্রদেশের সার্বিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা গোটা প্রদেশে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের ব্যবস্থা করছি। বেশির ভাগ রোগীই ডেঙ্গু আক্রান্ত। এর ঠিক পরেই রয়েছে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী।’
আবদুল গফুর আরও বলেন, গোটা প্রদেশেই ডেঙ্গুর ভয়াবহতার মাত্রা একই। প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষার পর প্রায় ৮০ শতাংশেরই ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।
করাচির আগা খান হাসপাতালে বহু ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন আবদুল গফুর। তাঁর আশঙ্কা, আসছে সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
‘আমাদের ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে বন্যা’
বন্যা শুরু হওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানজুড়ে কয়েক হাজার গ্রাম এখনো পানির নিচে। এতে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক সড়ক এখনো ব্যবহার অনুপযোগী। চিকিৎসার জন্য অনেকের ভরসা ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। এই সুযোগ পাচ্ছে খুবই কমসংখ্যক মানুষ।