এদিকে দেশীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল কিনতে টিসিবির আটটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক সাংবাদিকের জানান, ঢাকার ব্লু স্কাই এন্টারপ্রাইজ এবং চট্টগ্রামের মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স ও রুবি ফুড প্রোডাক্টের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টন করে মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১১০ টাকা কেজি দরে এ ১৫ হাজার টন মসুর ডাল কিনতে মোট ১৬৫ কোটি টাকা খরচ হবে।
এ ছাড়া মেঘনা এডিবল অয়েলের কাছ থেকে এক চালানে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার, আরেক চালানে ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৩০ লাখ লিটার; বসুন্ধরা মাল্টিফুডের কাছ থেকে ৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকায় ৩০ লাখ লিটার; সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার এবং সুপার অয়েল রিফাইনারির কাছ থেকে ১০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব তেলের লিটারপ্রতি দাম পড়বে ১৮৩ থেকে ১৮৫ টাকা।
কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের সব দেশে ব্যাংক ঋণে সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে, বাংলাদেশে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো দেশে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কাজ। ব্যাংক খাতে সুদের হার ৯ ও ৬ শতাংশ যেভাবে কার্যকর করেছি, তা ভালোভাবেই চলছে।’
এদিকে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গতকাল কানাডা ও মরক্কো থেকে ৬৮৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯০ হাজার টন এমওপি ও ডিএপি সার কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।