টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার খুব বড় নয়। খেলেছেন মাত্র ৩টি ম্যাচ। সঙ্গী হয়ে আছে চোটপ্রবণতাও। তারপরও হাসান মাহমুদের প্রতিভায় ভরসা রেখেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠলেও এই পেসারকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে।
চোটে পড়ার আগে অবশ্য সবশেষ সিরিজে দারুণ বোলিং করেছিলেন এই তরুণ। ২২ বছর বয়সী পেসার বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়ে তাই অবাক হননি।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের পেসাররা হাতের মুঠোয় থাকা দুটি ম্যাচেই চাপের মুখে খেই হারিয়েছেন। হাসান মাহমুদ এই জায়গাটায় দলকে ভরসা দিতে চান।
চোটে পড়ার আগে জিম্বাবুয়েতে দুটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেন হাসান। গতি তার বড় শক্তি। জিম্বাবুয়েতে তিনি নজর কাড়েন সুইং ও নিয়ন্ত্রণ দিয়েও।
মিরপুর শেরে বাংলায় আজ (শনিবার) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে হাসান বলেন, ‘সবশেষ আমার যে পারফরম্যান্স দেখেছিলেন জিম্বাবুয়েতে, তাতে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে হয়তো জায়গা ধরে রাখতে পারব দলে। এমনটাই হয়েছে। জিম্বাবুয়ে যে সিরিজটা খেলেছিলাম, ওটা থেকে খুবই আত্মবিশ্বাসী আমি নিজেই। যেহেতু এখন বিশ্বকাপ দলে আছি, নিজের সেরাটাই দিতে চাই।’
চাপের সময় ভালো বোলিং করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন হাসান। ডানহাতি এই পেসারের ভাষায়, ‘যখন চাপের সময় আসে তখন হয়তোবা আমরা বেশি পেনিকড হয়ে যাই, অথবা আমাদের যে মেইন স্কিলটা হয়তো ভুলে যাই। তো ওই জিনিসটা এক্সচুয়েলি আমাদের নিয়মিত চালিয়ে নিতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের ওই জিনিসটা কাজে লাগাতে হবে। এটা আমাদের শিখতে হবে।’
চোটের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা কতটা চ্যালেঞ্জিং? হাসানের জবাব, ‘অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। ফাস্ট বোলারদের জন্য ইনজুরি জিনিসটা মানে একটা বন্ধুর মতো, এসে আবার চলে যায় (হাসি)। জিনিসটা খুবই… কিন্তু এটা কাজ করার মধ্যে থাকতে হবে। ফিটনেস বলেন, বোলিং ওয়ার্ক বলেন সবকিছু মিলেই, এটা এক্সচুয়েলি ধারাবাহিকতার ব্যাপার। নিয়মিত আপনি যখন কাজে থাকবেন, তখন এ জিনিসটা হয়তো হবে না।’
হাসান জানালেন, চোটের পর এখনও বল হাতে নেননি। আগামী ১৯ অক্টোবর বোলিং শুরু করতে পারবেন, এমন আশা তরুণ এই গতিতারকার।