দীর্ঘমেয়াদি কভিড-১৯ বিভিন্ন অস্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি স্নায়বিক এবং স্নায়ুমনোগত উপসর্গ সৃষ্টি করছে বলে এরই মধ্যে ধারণা হয়েছে গবেষকদের। বিষয়টি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখতে একটি ইউরোপীয় গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কী প্রভাব ফেলে গবেষণাটি তা অনুসন্ধান করে দেখবে।
কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গন্ধ এবং স্বাদের অনুভূতি ও মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস, স্মৃতিশক্তির সমস্যা এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে বলে গবেষকরা দেখেছেন।
কেউ কেউ মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের শিকারও হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সুইডেনের উমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
ইউরোপীয় প্রকল্পটির সুইডিশ অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরাই।
গবেষণাটির উদ্দেশ্য হলো মস্তিষ্কের কোন ধরনের কোষ করোনার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল, কীভাবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কী কারণে এই সংবেদনশীলতা শরীরের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় করে তোলে তা খতিয়ে দেখা।
উমিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন-মারি ফরস কনোলি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘আশা করি, গবেষণালব্ধ জ্ঞান চিকিত্সা বিজ্ঞানে অনেক নতুন পথের সন্ধান দেবে, যা কভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কমাতে এবং ভবিষ্যতে নতুন চিকিত্সার পথ খুলে দিতে সাহায্য করবে।
প্রকল্পটি করোনাজনিত স্নায়বিক ও মনোগত জটিলতার চিত্র তৈরি করবে।
গবেষণায় সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের নিবন্ধিত রোগীদের তথ্য-উপাত্ত অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ গবেষণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রোগের ঝুঁকির পূর্বাভাস পাওয়া যেতে পারে।
পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটিতে প্রায় ৮৪ লাখ ইউরো ব্যয় করা হবে। সুইডেনের উমিও বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও ইসরায়েলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্লিনিক এতে অংশ নিচ্ছে।