সোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

দেশে দেড় শতাধিক স্টেমসেল প্রতিস্থাপন সম্পন্ন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ ৪:২৭ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ১৫০ বেশি স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যার সিংহভাগ অটোলোগাস স্টেমসেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০১৮ সালে একটি অটোলোগাস স্টেমসেল প্রতিস্থাপন সফলভাবে করা হয়েছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ দিবসকে সামনে রেখে বিএসএমএমইউ হেমাটোলজি বিভাগের এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন চিকিৎসকরা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে ২০১৬ সালে ৪৪ হাজারের বেশি অটোলোগাস স্টেমসেল প্রতিস্থাপন ও ৩৮ হাজারের বেশি এলোজেনিক স্টেমসেল প্রতিস্থাপন হয়েছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে প্রতি কোটি মানুষে যথাক্রমে ৩৩৪ ও ২৫৮ টি অটোলোগাস স্টেমসেল প্রতিস্থাপন এবং যথাক্রমে ২২৭ ও ১৮১টি এলোজেনিক স্টেমসেল প্রতিস্থাপন হয়েছিল।

চিকিৎসকরা জানান, রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনে স্টেমসেল বা বোন মেরো দিতে উৎসাহিত করা ও যারা স্টেমসেল দিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ জীবনের সুযোগ করে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার উদ্দেশ্যে সারাবিশ্বে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় শনিবার বিশ্ব স্টেমসেল (মেরো) দাতা দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয়েছে বিশ্ব স্টেমসেল (মেরো) দাতা দিবস ।

তারা বলেন, স্টেমসেল প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া মূলত দুই ধরনের। এলোজেনিক স্টেমসেল প্রতিস্থাপন বা অন্যের স্টেমসেল রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন এবং অটোলোগাস স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশন বা রোগীর নিজের স্টেমসেল নিজের দেহে প্রতিস্থাপন। সারা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে প্রায় ১৩ লাখ রোগীর স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে এলোজেনিক স্টেমসেল এর সংখ্যা এর প্রায় অর্ধেক। লিম্ফোমা, মায়েলোমা রোগীদের অনেকের কেমোথেরাপির পরে অটোলোগাস স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশন এর প্রয়োজন হয়। একিউট লিউকেমিয়া, থ্যালাসেমিয়া, এপ্লাস্টিক এনিমিয়া বা বোন মেরো ফেইলোর এসব রোগে এবং লিম্ফোমা বা মায়েলোমা এর যে রোগীদের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি এবং অটোলোগাস স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশন ব্যর্থ হয় তাদের ক্ষেত্রে এলোজেনিক স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়ে থাকে।

তারা আরও বলেন, এলোজেনিক স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশন এর জন্য স্টেমসেল সংগ্রহের ক্ষেত্রে মলিকুলার জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে এইচএলএ অ্যান্টিজেনের মিল দেখতে হয়। নিকটাত্মীয় এবং এইচএলএ অ্যান্টিজেনের মিল রয়েছে এমন দাতা থেকে স্টেমসেল সংগ্রহ করে ট্রান্সপ্লান্টেশন করা রোগীর জন্য সবচেয়ে ভালো ফল আনে। কিন্তু বাস্তবে অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই নিকটাত্মীয় দাতা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে অনাত্মীয় কিন্তু এইচএলএ অ্যান্টিজেনের মিল রয়েছে এমন দাতা থেকে স্টেমসেল সংগ্রহ করে ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়। এজন্য স্টেমসেল স্বেচ্ছায় দানে আগ্রহী দাতার সংখ্যা বৃদ্ধি প্রয়োজন এবং যারা আগ্রহী হবেন তাদের এইচএলএ অ্যান্টিজেনের তথ্য সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান। উক্ত সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেলে ছিলেন হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ ও অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুজ্জামান খান। হেমাটোলজি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মেহনাজ আশরফ ও ডা. মো. মাহমুদুল হাসান সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্টেমসেল প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির ব্যাপারে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন গুরুত্বারোপ করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত সব ধরনের স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশন চালু ও যাবতীয় পর্যায়ে স্টেমসেল দাতাদের রেজিস্ট্রি তৈরির বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি সব পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ।

সর্বশেষ - আইন-আদালত