স্কুল কোচিংয়ে পড়তে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে। ওই কোচিংয়ে পড়লে রেজাল্ট ভালো আর না পড়লে ভালো হয় না বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৬০ সালে নগরীর বি কে রায় রোডের শেখ পাড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এইচ আর এইচ প্রিন্স আগা খান স্কুল। পরে নামকরণ করা হয় শহীদ শেখ আবু নাসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদ আহমদ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রদীপ সরকার (গণিত শিক্ষক)।
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের সব শ্রেণিতে রয়েছে আলাদা কোচিং ব্যবস্থা। এ কোচিংয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যারা কোচিংয়ে পড়তে আগ্রহী নয় পরীক্ষায় তাদের রেজাল্ট খারাপ হয়। প্রদীপ সরকার এ কোচিং পরিচালনা করেন। এখানে কোচিং না করলে তিনি ছাত্রছাত্রীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন করেন।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সরকার কোচিংয়ের এর কথা স্বীকার করলেও পড়তে বাধ্য করা বা ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে কোচিং করানো হয়। এ কোচিংয়ে না পড়লে কারো ফলাফল খারাপ করা হয় এমন অভিযোগ ঠিক না।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদ বলেন, আমরা আগে পঞ্চম, অষ্টম ও দশম শ্রেণির কোচিং করাতাম। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়। এখন পিএসসি ও জেএসসি উঠে যাওয়ায় শুধুমাত্র এসএসসি কোচিং করানো হয়। এখানে ছাত্রছাত্রীরা ওই কোচিংয়ে পড়ে মাস শেষে যা পারে তাই দিয়ে যায়। যারা পড়তে চায় না তাদের বাধ্য করা হয় না।