পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরান জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আজ বুধবার সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় জনে। দেশটির অন্তত ১৫টি শহরে রাতারাতি এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বুধবার জানিয়েছে, ইরানের ১৫টি শহরের রাস্তায় সমাবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশের পঞ্চম রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ছাড়া অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
সমাবেশের সময় সড়ক অবরোধ করে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের। নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ঢিলও ছোড়ে তারা। এ ছাড়া অনেক জায়গায় পুলিশের গাড়ি ও আবর্জনার স্তূপে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে মানুষ।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তেহরানসহ মাশহাদ,তাবরিজ,রাশত, ইসফাহান, শিরাজ এবং অন্যান্য শহরে রাতভর সমাবেশ হয়েছে।
এর আগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ ইরানি নারীরা তাদের চুল কেটে ফেলে এবং হিজাব খুলে পুড়িয়ে ফেলে। রবিবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব প্রতিবাদের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার ২২ বছর বয়সী ইরানি তরুণীর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করার পর থেকে জনগনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর মাথায় আঘাত পেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
সূত্র : এএফপি।