হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা এলাকা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ে। বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৩ শতাংশ। চীনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে কাজ করছেন দেশীয় শ্রমিকরা। তবে প্রকল্পের কিছু ব্যবস্থাপক শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন- এমন অভিযোগ এসেছে। এ অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুতর উল্লেখ করে এর সত্যতা যাচাইয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অভিযোগের সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হবে ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়।
এমনকি এক্সপ্রেসওয়ের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হলেও তা তারা (শ্রমিকরা) পাননি বলেও অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম শাখাওয়াত আকতার জাগো নিউজকে বলেন, যেদিন ঘটনা ঘটেছে সেই দিনই এটা মিটিয়ে ফেলেছি। এটা তেমন কিছু না।
এফডিইই’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আমাদের নিয়োজিত উপ-ঠিকাদার ও তাদের মনোনীত এজেন্টের নিয়োগ করা কয়েকজন শ্রমিক তেজগাঁও এলাকায় নির্মাণস্থানে বিক্ষোভ করেন। বকেয়া বেতন ও কিছু কাজের শর্ত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা ভাঙচুর করে স্থাপনার ক্ষতিসাধন করেন। আমরা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
এতে আরও বলা হয়, আমরা উপ-ঠিকাদারকে সময়মতো বিল পরিশোধ করেছি। উপ-ঠিকাদারও আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, তারা তাদের তিন শ্রমিক এজেন্টকে যাবতীয় বেতন পরিশোধ করেছেন। তা সত্ত্বেও কোথাও বেতন বকেয়া আছে কি না- এ বিষয়ের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।