নবাগতদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা তোমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছ। সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। যে ব্যক্তি সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারে, সে সফল হয়। যে শিক্ষার্থী তার ছাত্রজীবনের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে পারে, তার লক্ষ্য অর্জনে কোনো কিছুই বাধা নয়। তোমাদের জীবনের একটি লক্ষ্য থাকতে হবে। তোমরা যদি মেধার সঙ্গে তোমাদের প্রচেষ্টাকে একত্র করতে পারো, তাহলে জীবনে যেকোনো কিছুই অর্জন করতে পারবে।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইয়াসমিন কামাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের সর্বোত্তম শিক্ষা প্রদানের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। তোমাদের এই সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ভালো ফলাফল করতে হবে, একই সঙ্গে নিজেদের পরিবার ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
ট্রাস্টি জাভেদ মুনির আহমেদ বলেন, তোমাদের পরবর্তী চার বছর খুব গুরুত্বসহকারে নিতে হবে ও নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তোমরা শিথিল হবে না, হাল ছেড়ে দেবে না। তোমাদের নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তোমরা কাজ দিয়ে বাবা-মা, দেশ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের গর্বিত করবে।
উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একটি ভালো চাকরির আশায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ স্নাতক চাকরির বাজারে ভালো অবস্থানে আছেন। কিউএস গ্র্যাজুয়েট এমপ্লয়বিলিটি র্যাঙ্কিং-২০২২-এ বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে জ্ঞানী ও দক্ষ শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখতে চায়। আমি তোমাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, এখানে সবচেয়ে যোগ্য ও যত্নশীল আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক আছে। আমরা অনেক নামী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করি। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আমাদের (নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের) মোট গবেষণার সংখ্যা দেশের শীর্ষ নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট গবেষণার চেয়েও বেশি।’
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য এম ইসমাইল হোসেন, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন আবদুল হান্নান চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেসের ডিন জাবেদ বারী, স্কুল অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন হাসান মাহমুদ রেজা, স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন আবদুর রব খান, রেজিস্ট্রার আহমেদ তাজমীন, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।