জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, দেশটি আগামী বছর থেকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধ করবে।
মিয়ানমারের জান্তা গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন কর্মীদের একের পর এক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপান।
গত জুলাইয়ে অং সান সুচির দলের একজন সাবেক আইন প্রণেতা এবং একজন সমাজকর্মীসহ চারজন বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে মিয়ানমারের জান্তা। এটি ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।
মৃত্যুদণ্ডগুলো কার্যকরের আগে মিয়ানমারের জান্তাকে ‘শিগগির সহিংসতা বন্ধ করার’ এবং ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার’ আহবান জানিয়েছিলেন জাপানের তত্কালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিশি।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেনাশাসিত দেশটিতে সংস্কার প্রচেষ্টার অনুপস্থিতি এবং বিতর্কিত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রেক্ষাপটে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও বিনিময় বজায় রাখা উচিত নয়। ’
২০১৫ সাল থেকে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ৩০ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে জাপান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, জাপানে বর্তমানে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ১১ জন সদস্য প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে রয়েছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ করতে দেওয়া হবে। কিন্তু মিয়ানমারের নতুন কোনো প্রশিক্ষণের আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।
সূত্র : এএফপি