রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সিআইএ জাদুঘর যুক্তরাষ্ট্রে যে জাদুঘরে দর্শনার্থীদের ঢুকতে মানা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ ৪:৩০ অপরাহ্ণ

প্রায় ৬০০টি বিরল নিদর্শন আছে জাদুঘরটিতে। স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন গোয়েন্দাদের ব্যবহৃত কিছু যন্ত্রও আছে সেখানে। এসব যন্ত্রের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা গোপন রাখা যেত। আরও আছে সিগারেটের প্যাকেটের ভেতর লুকানো গোপন ক্যামেরা, সঙ্গে ক্যামেরাযুক্ত কবুতরের মডেলসহ বিভিন্ন নিদর্শন। সবই স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন গোয়েন্দারা ব্যবহার করতেন। জাদুঘরে থাকা কিছু নিদর্শন এখনো বিভিন্ন অভিযানে ব্যবহার করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।

সাজানো-গোছানো একটি জাদুঘর। আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মরদেহের সঙ্গে যে রাইফেলটি পাওয়া গিয়েছিল, সেটি সাজানো আছে সেখানে। আছে ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ব্যবহৃত চামড়ার জ্যাকেট। কিন্তু চাইলেও আপনি সেই জাদুঘরে যেতে পারবেন না। ঘুরে দেখতে পারবেন না এসব নিদর্শন। কেননা এই জাদুঘরে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ।

পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ২০১১ সালে সিআইএর গোপন অভিযানে নিহত হন আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন। তাঁর রাইফেলের সঙ্গে তিনি যেই বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন, সেটার একটি মডেল আছে ওই জাদুঘরে। পাশেই রাখা আছে সাদ্দাম হোসেনের একটি চামড়ার জ্যাকেট।

জাদুঘরের পরিচালক রবার্ট জেড বায়ার বলেন, ‘এসব নিদর্শনের থ্রিডি দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের নীতিনির্ধারকদের, গোয়েন্দাদের যেকোনো অভিযানের সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক হয়।’ তাঁর মতে, লাদেনকে হত্যার অভিযানের অভিজ্ঞতা চলতি বছর আফগানিস্তানের কাবুলে আল-কায়েদার সর্বশেষ শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির ওপর সিআইএর অভিযান চালাতে সাহায্য করেছে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে চলতি বছর আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির ওপর অভিযান চালায় সিআইএ। এ সময় জাওয়াহিরি যেই গোপন আস্তানায় ছিলেন সেটির হুবহু মডেল রাখা আছে সিআইএ জাদুঘরে

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে চলতি বছর আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির ওপর অভিযান চালায় সিআইএ। এ সময় জাওয়াহিরি যেই গোপন আস্তানায় ছিলেন সেটির হুবহু মডেল রাখা আছে সিআইএ জাদুঘরে
ফাইল ছবি: রয়টার্স

কাবুলে জাওয়াহিরির গোপন আস্তানায় অভিযানের আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেই ভবনের একটি মডেল তৈরি করেছিল সিআইএ। পরে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে উপস্থাপন করা হয়। অভিযানটি কীভাবে হবে, বাইডেনকে সেই বিষয়ে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরপরই মেলে অভিযানের অনুমোদন। জাওয়াহিরির গোপন আস্তানার মডেলটিও রাখা আছে জাদুঘরটিতে।

১৯৪৭ সালের জুলাইয়ে সিআইএর যাত্রা শুরু। এরপর স্নায়ুযুদ্ধ, কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকট, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, উপসাগরীয় যুদ্ধ, নিউইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা, ইরাক-আফগানিস্তান যুদ্ধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মোকাবিলা করতে হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাটিকে। জাদুঘরটিতে সময়ক্রম ধরে এসব ঘটনার বিভিন্ন নিদর্শন সাজানো আছে।

গোপন এই জাদুঘরে সাধারণ মানুষের প্রবেশে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে কারা যান, সেই প্রশ্ন উঠেছে। মূলত জাদুঘরটি ঘুরে দেখেন সিআইএর লোকজন। আসেন রাজনীতিক-নীতিনির্ধারকেরাও। তাঁরা যেমন সিআইএর অভিযানের সাফল্যের বিষয়টি দেখেন, তেমনি কিউবায় বিভিন্ন সময় পরিচালিত অভিযানে ঐতিহাসিক ব্যর্থতা, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র খুঁজে না পাওয়ার ব্যর্থতার নিদর্শনও দেখেন।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার পর গোয়েন্দা সংস্থাটির মনোযোগ অনেকাংশে সন্ত্রাস দমনের দিকে ঝুঁকে যায়। এই হামলায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের দেওয়া বিভিন্ন আলামত জাদুঘরে রাখা আছে। এ ছাড়া কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর ওপর পরিচালিত সিআইএর অভিযান ও ইরাক যুদ্ধ নিয়ে জাদুঘরটিতে আলাদা দুটি গ্যালারি রয়েছে।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

বিএনপি নেতাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হচ্ছে, দাবি বুলুর

টুটুল-তানিয়ার ডিভোর্স, ছেলের জন্য মন খারাপ সিদ্দিকের

জলাতঙ্ক আতঙ্ক (পর্ব-১) বছরে টিকা নেন ৪ লাখ মানুষ, রোগাক্রান্ত হলেই নিশ্চিত মৃত্যু

আবারও পুরস্কার জিতলো নুহাশ হুমায়ূনের ‘মশারি’

আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশকে অগ্রহণযোগ্য বললো ইসরায়েল

ঢাবিতে তাবলীগের আলোচনা সভায় বাধা ও হামলার অভিযোগ

পাকিস্তানে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র

ফ্রিল্যান্সিংয়ে এআই বাংলাদেশে সুবিধার চেয়ে ঝুঁকি বেশি