চকলেট তৈরির অনুমোদনই নেই। তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ রং ও ফ্লেভার ব্যবহার করে চকলেট তৈরি করে আসছিল গ্রীন৯ কোম্পানি লিমিটেড। সেই চকলেটের বক্সের গায়ে মেয়াদ থাকলেও ভেতরে থাকা চকলেটের মোড়কের তারিখ অনুযায়ী তা মেয়াদোত্তীর্ণ। আবার মোড়কের গায়ে ওজন ১০ গ্রাম লেখা থাকলেও বাস্তবে সেটা ৫ দশমিক ৬৫ গ্রাম।
অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা এবং তাতেও এমন কারসাজি করায় গ্রীণ৯ কোম্পানি লিমিটেডকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরখানের উজামপুর এলাকায় গ্রীন৯ কোম্পানির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির এমন কারসাজির চিত্র দেখতে পান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, জরিমানার পাশাপাশি কেন প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আগামী সাতদিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অধিদপ্তরে গ্রীন৯ কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে তলব করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম।
আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, কোম্পানির বিভিন্ন রকমের চকলেট তৈরিতে মেয়াদোত্তীর্ণ রং, ফ্লেভার ব্যবহার করা হতো। আরও কিছু রং ও ফ্লেভারের মোড়কের গায়ে লেবেল নেই। আবার চকলেটের বাক্সের গায়ে উৎপাদনের তারিখ ২৮-৯-২০২২ থাকলেও ভেতরে চকলেটের গায়ে ২৫-০৫-২০২২ লেখা। এসব চকলেট তৈরি হচ্ছিলও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।
তিনি বলেন, তারা আরও চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন। চকলেটের মোড়কের গায়ে ওজন ১০ গ্রাম লেখা থাকলেও বাস্তবে পাওয়া যায় ৫ দশমিক ৬৫ গ্রাম। তাদের ডিউ ও ভেগান নামের চকলেট তৈরির সপক্ষে বিএসটিআইয়ের কোনো লাইসেন্স নেই।