জাতীয় গ্রিডে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। দুপুর ২টা থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। জরুরি কাজ চালিয়ে নিতে জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ কারণে ভিড় বেড়েছে পাম্পে। গ্যালন হাতে ডিজেল কিনতে পাম্পে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন মানুষ।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নীলক্ষেত মোড় এলাকায় পথের বন্ধু ফিলিং স্টেশন, মালিবাগ অটো সার্ভিস, নীলক্ষেত এলাকায় কাজী গোলাম সামদানী পাম্প, উত্তর বাড্ডা এলাকায় আল-মক্কা পাম্পে গ্যালন হাতে তেল নিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
নীলক্ষেতের পথের বন্ধু ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, তেল নিতে আসা গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি। অনেকেই এসেছেন ৫ লিটার থেকে ২০ লিটারের ধারণক্ষমতার গ্যালন নিয়ে। আবার অনেকেই এসেছেন ব্যারেল নিয়ে।
তারা বলেন, বিদ্যুৎ নেই। এখন জেনারেটরই ভরসা। কারেন্ট গেলে কী হবে, অফিস বা বাসার জেনারেটর তো চালাতে হবে। এজন্য তেল কিনতে এসেছি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘটে। এরপর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেটের অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
এদিন বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যার পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করেই খুব বেশি তাড়াহুড়ো করছি না। কারণ বেশি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যেন বড় বিভ্রাট না ঘটে। আগামী এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসবে।’
বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সঞ্চালন লাইনে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পূর্বাঞ্চলের ঝামেলা এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকিগুলোও সমাধান হচ্ছে। ঢাকা-টঙ্গী এলাকায় এখনো ঝামেলা আছে।’