বুধবার , ৫ অক্টোবর ২০২২ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা খাদ্য সহায়তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজবাড়ীর জেলেরা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ৫, ২০২২ ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

মা ইলিশ রক্ষায় ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় কার্ডধারী জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসাবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।

তবে নিষেধাজ্ঞার আর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও এখনো খাদ্য সহায়তা পাননি রাজবাড়ীর জেলেরা। এ খাদ্য সহায়তা পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। এছাড়া প্রকৃত জেলেরা এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা, হাট বাজারে কেনা-বেচা ও পরিবহন করলে রয়েছে জেল জরিমানার বিধান। ফলে এ সময় অনেক জেলেই মানবেতর জীবন-যাপন করে। সরকারি সহায়তা হিসাবে নিবন্ধিত কার্ডধারী জেলেরা ২০ কেজি করে চাল ছাড়া অন্য কোনো সহায়তা পান না। যার কারণে অন্য খরচ মেটাতে হিমশিম ভেতে হয় তাদের। উপায়ন্তর না পেয়ে অনেকে পেটের দায়ে জেল-জরিমানার ভয় উপেক্ষা করে মাছ ধরতে নদীতে নামে। এরমধ্যে মৌসুমি জেলের সংখ্যা বেশি।

এদিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে জেলা প্রশাসন, মৎস্যজীবী, হাট-বাজার কমিটিসহ বিভিন্ন স্তরে সভা করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ। পাশাপাশি মাইকিংসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন তালিকা অনুযায়ী রাজবাড়ী জেলায় বর্তমানে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ১০ হাজার ২৯০ জন। যারা সরকারি সুবিধা পায়। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২০ কেজি করে চাল পায় ৪ হাজার ৭০০ জেলে এবং জাটকা ধরা নিষেধাজ্ঞার সময় দুই কিস্তিতে ৮০ কেজি চাল পায় ৩ হাজার ৫০০ নিবন্ধিত জেলে। তবে নতুন করা তালিকায় জেলেদের সংখ্যা বাড়বে।

জেলে গোলাপ মন্ডল, আলামিন, মাজেদ কাজী, সমশের, মনছের সরদারসহ অনেকে বলেন, মাছ ধরেই তাদের সংসার চলে। সরকারের নির্দেশনা তারা মানতে রাজি, কিন্তু সরকার তো তাদের দেখে না। ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা বন্ধের সময় তাদের সংসার খুব কষ্টে চলে। ২২ দিনের জন্য সরকার যে ২০ কেজি করে চাল দেয়, এবছর সেটাও এখনো পাননি। আর চাল দিয়ে সব হয় না। তরি তরকারি সহ সংসারে কত খরচ। সুদের ওপর টাকা নিয়ে অথবা ধার করে সংসার চালাতে হবে।

তারা আরও বলেন, মৎস্য অফিসের মাধ্যমে সরকার যে সহায়তা দেয়, সেটাও প্রকৃত জেলেরা পায় না। পায় যারা অন্য পেশায় কাজ করে। তাই সঠিক যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত জেলেদের সহায়তা দেওয়া উচিত। অভিযানের আগে সহায়তা পেলে আমাদের জন্য ভালো হতো।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর ৪ হাজার ৭০০ জেলেকে ৯৪ টন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। এ বছর তালিকা চূড়ান্ত না হলেও ৬ হাজার জেলেকে সহায়তার জন্য চাহিদা দিয়েছি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে সেটা পেয়ে যাবো। বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, কালুখালী ও পাংশা উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩২৩ জেলেকে গরুর বাছুর দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ওই তিন উপজেলায় প্রায় ৯০ জেলেকে তালিকায় আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, জনপ্রতিনিধি, জেলে পাড়া, নদী ঘাট, বাজারে সভা করেছি। এছাড়া প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অভিযান সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সর্বশেষ - দেশজুড়ে

আপনার জন্য নির্বাচিত

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা বগির নিচে আটকা মৃতদেহ বের করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘গ্যাস কাটার’

এখনো টিকে আছে দোয়াত-কলম

মক্কা-মদিনা রুটে উচ্চ গতির ট্রেন, চালক ৩১ নারী

বেসরকারি খাতে নেওয়ার উদ্যোগ ঝুঁকিতে পড়বে পেট্রোলিয়ামসহ জ্বালানি নিরাপত্তা

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এক গ্যাস কূপ খননেই ব্যয় বাড়ছে ৩ কোটি

আ.লীগের দুই নেতাকে হারিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল

বরখাস্তই থাকছেন দিনাজপুরের পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর

ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া দায়ী নয়, দাবি পুতিনের

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘ গণনা শুরু