শরণার্থী সংকটের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নিউইয়র্ক মেয়র এরিক অ্যাডামস এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সম্প্রতি ১৭ হাজার আশ্রয়প্রার্থী শহরে প্রবেশ করেছেন। এতে শহরটির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।
আদেশের অংশ হিসাবে, মেয়র অ্যাডামস সব সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সহায়তা প্রদানের জন্য মানবিক ত্রাণ কেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক মেয়র অ্যাডামস বলেন, নিউইয়র্ক এই অর্থবছরের শেষে আরো একশ কোটি ডলার খরচ করবে। তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সমর্থনের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে এই সংকট ‘আমাদের শহরের বাজেটের জন্য বড় বোঝা’।
নিউইয়র্ক ও অন্যান্য শহর সীমান্ত সংলগ্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের চাপে রয়েছে। অভিবাসীদের আশ্রয় এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদানের জন্য কাজ অব্যাহত রয়েছে এসব শহরে। এসব শরণার্থীদের অনেকেই ভেনিজুয়েলা এবং অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে সহিংসতার জেরে পালিয়ে এসেছে।
অ্যাডামস এটিকে সংকটময় পরিস্থিতি বলছেন। ১৯৮০ সালের আইনের অধীনে নিউইয়র্কে যার প্রয়োজন তার আবাসনের ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক। নিউইয়র্কে
এখন ৫ জনে একজন আশ্রয়প্রার্থী বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা। প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র তার মানবিক কর্মসূচির আওতায় বছরের পর বছর শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছিল। সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিতাড়িত মানুষের আশ্রয়ের অন্যতম জায়গা হিসেবে পরিচিত দেশটি।
কিন্তু রুশ হামলার পর দেশ ছেড়ে মেক্সিকো সীমান্তে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে হাজার হাজার ইউক্রেন শরণার্থী। যেভাবে সীমান্ত দিয়ে শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন, তাতে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন। এ কারণে সীমান্তগুলোতে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপও করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: ব্লুমবার্গ