রবিবার , ৯ অক্টোবর ২০২২ | ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ফাইন্যান্স কোম্পানির নামে শতকোটি টাকা লোপাট, দুজন রিমান্ডে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ৯, ২০২২ ১২:৩০ অপরাহ্ণ

প্রতি লাখে মাসে ১৫০০ টাকা লাভ দেওয়ার প্রলোভনে প্রায় ১১০০ মানুষের কাছ থেকে শতকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া মনির আহমেদ (৫১) ও মো. সাইফুল ইসলামের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিরা আহমদিয়া ফাইন্যান্স অ্যান্ড কমার্স এমসিএস লিমিটেড নামে কথিত কোম্পানি খুলে দীর্ঘদিন এই প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন ।

রোববার (৯ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কাফরুল থানায় হওয়া প্রতারণা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমী তাদের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অধিক লাভের প্রলোভনে আহমদিয়া ফাইন্যান্সে গ্রাহকরা টাকা জমা রাখার পর কয়েক মাস নিয়মিত লভ্যাংশ পেতেন। পরবর্তী সময়ে প্রতারকরা তালবাহানা করে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়। গ্রেফতারের পর জানা যায়, লাভের আশায় রাখা গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা এই প্রতারক চক্র আহমদিয়া অ্যাপার্টমেন্ট অ্যান্ড বিল্ডার্স এবং ইউরোস্টার হোম অ্যাপ্লায়েন্স নামের কোম্পানিতে সরিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় ডিএমপির কাফরুল থানায় হয়েছে একটি প্রতারণা মামলা। গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ মামলাটি অধিগ্রহণ করে প্রতারকদের শনাক্ত এবং গ্রেফতার করে।

দুই প্রতারককে গ্রেফতারের খবর পেয়ে প্রতারিত শতাধিক সঞ্চয়কারী ডিবি কার্যালয়ের সামনে আসেন। তাদের একজন মো. জলিল পেশায় তৈরিপোশাক কারখানার শ্রমিক।

তিনি বলেন, দুই দফায় দেড় লাখ টাকা সঞ্চয় রেখেছিলাম এই কোম্পানিতে। কিন্তু লাভের টাকা পেয়ে মূল টাকা চাইতে গেলে তারা আমাকে দেয়নি। আমার দুইটা মেয়ে অসুস্থ, তাদের চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। উপায় না পেয়ে তাদের কাছে মেয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য ত্রিশ হাজার টাকা চেয়েছিলাম, হাতে-পায়ে ধরে। তবুও তাদের মন গলেনি। চিকিৎসার অভাবে আমার একটা মেয়ে মারাই গেছে।

সর্বশেষ - সারাদেশ