কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ দাবি করেছে, শীর্ষ নেতা কিম জং উনের তত্ত্বাবধানে চালানো পরীক্ষাগুলো ছিল ‘কৌশলগত পারমাণবিক মহড়া। ’
কেসিএনএ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার তত্পরতার জবাবে প্রকৃত যুদ্ধ পরিস্থিতির অনুকরণে সামরিক মহড়া আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিয়ংইয়ং। যুদ্ধ প্রতিরোধ ও পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণ প্রতিরোধের সক্ষমতা যাচাই করতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই মহড়া চালানো হয়।
কেসিএনএ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরা কিম জং উন হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে সেনাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এ সময় ফের আলোচনার বিষয়টি খারিজ করে দেন কিম।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিকে অগ্রাধিকার দেন শীর্ষ নেতা কিম। এ ছাড়া চলতি বছর দেশটির পারমাণবিক শক্তি দ্রুততম সময়ে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
গত মাসে পারমাণবিক বিষয়ক আইন সংশোধন করে কট্টরপন্থী এই কমিউনিস্ট রাষ্ট্র নিজেদের ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক শক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
এরপর ওয়াশিংটন, সিউল ও টোকিও যৌথ সামরিক মহড়া চালানো শুরু করে। মহড়ায় পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন মার্কিন রণতরী ব্যবহার করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ পিয়ংইয়ং মনে করছে, এ ধরনের মহড়া আক্রমণের প্রস্তুতি।
সূত্র : এএফপি