‘মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে সোমবার (১০ অক্টোবর) আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হল ‘সবার জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ভালো থাকাই হোক বৈশ্বিক অগ্রাধিকার’
বক্তারা বলেন, আত্মহত্যা প্রবণতা রোধকল্পে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সমন্বয় করে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে সার্বজনীন করে গ্রাম, উপশহর ও উপজেলাভিত্তিক করা যায় এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট এবং মনোযত্ন আউটডোর কাউন্সিলিং সেক্টরের ফোকাল রাখী গাঙ্গুলীর সঞ্চলনা ও পরিচালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন— জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এবং বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।
তারা বলেন, করোনার ফলে মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ বিপর্যয়ে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়েছে শিশু, তরুণ, বয়োবৃদ্ধ এবং নারীরা। এর সঙ্গে বেড়েছে অত্মহত্যা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা। আত্মহত্যা রোধের উপায় সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং বিভিন্ন স্তরে মনোসামাজিক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা।